বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন কনভেনশনের পর ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করে শ্রমিক সংগঠনগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব জানায়, এর আগে পাটকল শ্রমিকদের মজুরি ও অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত দাবিদাওয়া নিয়ে ২০১৫ সালে সরকার, সংগঠন ও মালিকপক্ষের মধ্যে যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়, তার মেয়াদ গত বছর মার্চে শেষ হয়। তারপর থেকে সরকার ও মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-কে বারবার এ নিয়ে বর্ধিত মজুরি সহ অন্যান্য দাবির ভিত্তিতে নতুন চুক্তির জন্য চাপ দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত চটশিল্পের বর্তমান সমস্যা নিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি শ্রম দপ্তর একটি বৈঠক ডাকে। কিন্তু সেই সভা শেষে কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিক তথা জুট কমিশনার চলে যাওয়ার পর শ্রমমন্ত্রী প্রায় আচমকা চটকলগুলিতে কেবলমাত্র কাজে যোগদানকারী নতুন শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৭০ টাকা করে বাড়িয়ে ৩২৭ টাকা করার প্রস্তাব দেন। মালিকপক্ষ তাতে একবাক্যে রাজিও হয়। কিন্তু শ্রমিক সংগঠনগুলি এই একতরফা সিদ্ধান্ত বা ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ করে। কিন্তু নির্দিষ্ট দাবি সনদ নিয়ে কোনওরকম আলোচনা না করে শ্রম দপ্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ৩১ জানুয়ারি সরকারি আদেশনামাও বের করে। কেন্দ্রীয় সরকারও এব্যাপারে নিশ্চুপ অবস্থান নিয়েছে। অথচ চটশিল্পের বকেয়া পিএফ, ইএসআই এবং গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। সরকার ও মালিকপক্ষের এই ‘বোঝাপড়া’র অবস্থান রীতিমতো সন্দেহজনক এবং তা বহু প্রশ্নের সুযোগ এনে দিয়েছে চটকল শ্রমিকদের সামনে। এই অবস্থায় সরকারপক্ষের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ১ মার্চ থেকে রাজ্যের চটশিল্পে লাগাতার ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কনভেনশনের মাধ্যমে।
এদিকে, মলয়বাবু শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ নস্যাৎ করে বলেন, বিগত ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতেও কেবলমাত্র নতুন কাজে যোগ দেওয়া শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির কথাই ছিল। সেবার সব মিলিয়ে এক লাফে ১০০ টাকা বেড়েছিল। এবার সেই আলোচনা মোটেও শেষ হয়নি। কেবলমাত্র অন্তর্বর্তী মজুরি বৃদ্ধির পরিমাণ ঘোষণা করা হয়েছে। আসলে সরকারের সিদ্ধান্তে শ্রমিক নেতাদেরই বোধহয় কিছু অসুবিধা হয়ে গিয়েছে। আমি এই অযৌক্তিক ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ওঁদের আলোচনার টেবিলে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।