পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত ৪ ফেব্রুয়ারি পরিবহণ দপ্তর থেকে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করে পুলিস, ডিএম সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট স্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই মালিকদের এই কাজ করতে বলে বলা হয়েছে। পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, কলকাতা আরটিএ’র এলাকা সম্প্রসারিত করে হাওড়া, বিধাননগর এবং বারাকপুর কমিশনারেট এলাকাকে যুক্ত করা হয়েছিল আগেই। এই সম্প্রসারিত এলাকায় যেসব অটো চলবে, সেগুলিকে পৃথকভাবে চিহ্নিতকরণের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
বলা হয়েছে, বর্তমানে অটোর যে রং রয়েছে, তাই থাকবে। কলকাতা আরটিএ এলাকায় সেই রংয়ের উপর অটোর সামনের দিকের অংশে বাঁদিকে ৮ ইঞ্চি ব্যাসের একটি হলুদ রংয়ের বৃত্ত আঁকতে হবে। তার ভিতরে আবার ৬ ইঞ্জি ব্যাসের সাদা রংয়ের আরেকটি বৃত্ত আঁকতে হবে। হলুদ রংয়ের অংশে লিখতে হবে কোন আরটিএ পারমিট ইস্যু করেছে, তার নাম। পারমিট নম্বর এবং রুট নম্বর লিখতে হবে সাদা রংয়ের অংশে। সেগুলি এক লাইনে লিখলে চলবে না। উপরে পারমিট নম্বর এবং নীচে রুট নম্বর লিখতে হবে।
রাজ্যের নির্দেশিকা বলছে, রাজ্যের বাকি জায়গায় চলাচলকারী অটোর গায়ে সাদা-নীলের বর্ডার দিতে হবে। প্রথমে ৪ ইঞ্চি চওড়া সাদা রংয়ের বর্ডার হবে। এই বর্ডারের ঠিক মধ্যে এক ইঞ্চি চওড়া নীল রংয়ের বর্ডার দিতে হবে। অটোর পিছনের বাঁ দিকে সাদা-নীলের বর্ডারের উপরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসের সাদা রংয়ের বৃত্ত আঁকতে হবে। তার ভিতরে ৬ ইঞ্চি ব্যাসের হলুদ রংয়ের আরেকটি বৃত্ত আঁকতে হবে। কলকাতা আরটিএ’র মতো বাকি জায়গার অটোতেও একইভাবে আরটিএ’র নাম, পারমিট নম্বর এবং রুট নম্বর লিখে রাখতে হবে। ভিতরের এই লেখাগুলি গোটা রাজ্যের ক্ষেত্রেই নীল রংয়ের হবে।
দপ্তরের এক কর্তা বলেন, যাত্রীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতেই অবৈধ অটোকে আইনে বাঁধার কাজ করছে বর্তমান রাজ্য সরকার। এই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে এর আগে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সম্প্রসারিত কলকাতা আরটিএ এলাকায় মোট অটো রুট এবং সেসব রুটে সর্বোচ্চ কতগুলি করে অটো চলতে পারে, তার সংখ্যা। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যেসব অটো চলছে, সেগুলিকে আইনের আওতায় আসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। নয়া নির্দেশিকা সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ। চলতি মাসের মধ্যেই গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।