গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শিল্প নিয়ে তেমন ভালো কিছু না থাকায় ঘুরপথে সুরাহা খোঁজার চেষ্টা করেছে অনেকেই। সর্বভারতীয় বণিকসভাগুলির মধ্যে ফিকি’র বক্তব্য, সাধারণ করদাতাদের উপর থেকে করের চাপ কমায়, তাঁরা খরচের অঙ্ক বাড়াবেন। দেশে চাহিদা বাড়লে, তাতে ঘুরিয়ে শিল্পমহলের উপকার হবে। ছোট শিল্পের সুদে ছাড় দেওয়া ছাড়া সেভাবে আর কোনও শিল্প-দিশা খুঁজে পায়নি বণিকসভা অ্যাসোচেম। তারা বলেছে, এই বাজেট সবার জন্য। তা সে কৃষকই হোক বা সরকারি বেতনভোগী। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধিতে খানিকটা আশা দেখেছে ওই বণিকসভা।
ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট সীতারাম শর্মা আবাসন শিল্পে সামান্য সুবিধা খুঁজে পেয়েছেন। তিনি বলেন, কোনও ব্যক্তির বিক্রি না হওয়া দ্বিতীয় বাড়ির জন্য ‘নোশন্যাল রেন্ট’-এ যে ছাড় ঘোষিত হয়েছে, তাতে ঝিমিয়ে থাকা রিয়েল এস্টেট ব্যবসা চাঙ্গা হবে। কিন্তু সার্বিকভাবে শিল্পকে চাঙ্গা করার মতো কিছু নেই। তাঁর কথায়, যদি দীর্ঘমেয়াদি কর ছাড় ঘোষণা করে শিল্পকে উৎসাহ দেওয়া যেত, তাতে বিনিয়োগ বাড়ত। চলতি শিল্পগুলিতেও করের বোঝা কমেনি এতটুকু। তাতে আরও দিশাহারা শিল্প। কোনও সম্পদ বৃদ্ধিতে এই বাজেটের তেমন ভূমিকা নেই, জানিয়েছেন তিনি। ৩৬টি ক্ষেত্রে কাস্টমস ডিউটি কমানোর সিদ্ধান্ত ছাড়া শিল্পক্ষেত্রে আর কোনও দিশা দেখতে পাননি মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট বিশাল ঝাঝারিয়া। তিনি বলেন, এই বাজেটে দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। দেশে সম্পদ গঠিত হবে কী দিয়ে, তার কোনও হদিশ নেই এই বাজেটে, আক্ষেপ করেছে দি বেঙ্গল চেম্বার’ও। তাদের কথায়, মহিলা উদ্যোগপতিদের কর ছাড়, প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি বা আবাসন শিল্পে কিছুটা সুবিধা করে দেওয়া অবশ্যই ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু সম্পদ সৃষ্টি হবে কোন রাস্তায়? ক্যালকাটা চেম্বার অব কমার্স অবশ্য ভোটের বছরে বাজেটে হরেক জিনিস রাখার প্রশংসা করেছে। তাদের কাছে এই অন্তর্বর্তী বাজেট যেমন কৃষক বান্ধব, তেমনই শিল্প বৃদ্ধিতে সহায়ক। অন্যদিকে গয়না শিল্পে দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সোনায় আমদানি শুল্ক কমানো। সেসব নিয়ে কেন্দ্রের বাজেট রা না কাড়ায় হতাশ জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল। তারা চাইছে, ভোটের পর পূর্ণাঙ্গ বাজেটে তার প্রতিফলন থাক। ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের বক্তব্য, সামাজিক ও বাস্তব পরিকাঠামো গড়তে সাহায্য করবে কেন্দ্রের এই বাজেট। অন্যদিকে, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের এমডি এবং সিইও আশিসকুমার চৌহান আশা করছেন, মধ্যবিত্ত, কৃষক ও অসংগঠিত ক্ষেত্রে খরচ বাড়ালে, তাতে অর্থনীতির বহর বাড়বে। তাতে সুবিধা পাবে শেয়ারবাজার।