রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গোটা দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি’র সাত শতাংশ দখল করে রাখে সোনা ও অন্যান্য গয়নার ব্যবসা। বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ছোট ছোট ইউনিট ও বড় কর্পোরেট সংস্থা মিলিয়ে এদেশে যে গয়নাশিল্প চলছে, সেখানে ৫০ লক্ষ মানুষ কাজ করেন। যে পরিমাণ পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়, তার ১৫ শতাংশ দখলে রাখে গয়না। যেহেতু রপ্তানিকে সরকার সবসময় বেশি গুরুত্ব দেয়, তাই সেই দিকে নজর দিতেই ১৯৬৬ সালে গড়ে তোলা হয় জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল। রপ্তানি বাড়াতে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত, রপ্তানিকারক সংস্থাগুলিই বা কীভাবে এগবে, তারই নীতি নির্ধারণে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রক ওই কাউন্সিল গড়ে তোলে। যেহেতু এই শিল্পে দক্ষ কারিগরের অভাব, তা মেটাতে গড়া হয় জেম অ্যান্ড জুয়েলারি স্কিম কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া। ২০১২ সালে কেন্দ্রীয় কারিগর উন্নয়ন মন্ত্রকের আওতায় তৈরি হয় ওই কাউন্সিল। কিন্তু দেশীয় বাজারের জন্য গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির জন্য এতদিন কোনও সংগঠন ছিল না, যেখানে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আছে। এবার সেই পদক্ষেপই করতে চলেছে কেন্দ্র।
কাউন্সিলে মোট ২৬ জন সদস্য থাকার কথা। এখানে পদাধিকার বলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঠাঁই পেয়েছেন বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার। তিনি বলেন, দিল্লিতে প্রশাসনিকভাবে ওই কাউন্সিল গঠিত হয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে তা আগামী ২৯ জানুয়ারি মুম্বইতে ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ছাড়াও মোট চারটি জোন থাকছে, যার মধ্যে অন্যতম পূর্বাঞ্চল। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য দপ্তরের একজন সচিব ছাড়াও অন্য দু’টি মন্ত্রকের সচিব ওই কমিটির মধ্যে থাকবেন বলে জানিয়েছেন টগরবাবু। তিনি বলেন, কারিগরদের হয়ে কথা বলার জন্য পরিসর তৈরি করে দিতে এই প্রথম উদ্যোগ নিল সরকার।
গয়নাশিল্পের প্রসারে দেশীয় কাউন্সিলে শুধু যে সোনা বা রত্নের কারিগররাই ঠাঁই পাবেন, তা নয়। এখানে হীরে, মুক্তো, রত্ন এবং নকল রত্নের শিল্পগুলি থেকে যেমন প্রতিনিধি থাকবেন, তেমন ধাতু শোধনাগার এবং বুলিয়ান বাজারের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। এছাড়াও নকল বা ফ্যাশন গয়নার প্রতিনিধিদেরও কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার কথা। গয়নাশিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মহলকে জড়িয়ে ওই কাউন্সিল গঠনে দেশীয় বাজার আরও চাঙ্গা হবে বলেই মনে করছে সব পক্ষ।