কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
যে ক’টি ব্রডকাস্টার সংস্থা এখন ব্যবসা করে, তাদের অনেকেরই হাতে আছে বেশ কয়েকটি চ্যানেল। তার মধ্যে কোনওটির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। আবার কোনওটির তেমন কদর নেই। এতদিন কদর থাকা বা না থাকা— সব চ্যানেলই ভেসে উঠত টিভির পর্দায়। এবার আর তা হওয়ার নয়। সেই কারণেই দর কমানোর পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে কোন চ্যানেলের দাম কতটা কমছে, তা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তির কথা শুনিয়েছেন কেবল অপারেটর্স সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, চ্যানেলের দাম যে কমছে, তা আমরা শুনছি। চ্যানেলগুলিও তা প্রচার করছে। কিন্তু গোল বেঁধেছে অন্য জায়গায়। টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা ট্রাই তাদের ওয়েবসাইটে চ্যানেলের দামগুলি ঘোষণা করছে। সেখানে বদলে যাওয়া দর অনেক ক্ষেত্রেই তারা প্রকাশ করছে না। তাই আমরা দর্শককে ট্রাইয়ের দরই জানাচ্ছি। যদি ট্রাই ওই কমে যাওয়া দর সরকারিভাবে ঘোষণা করে, তাহলে আমরাও দর্শকদের পরের মাসের বিলে সেই দাম ‘অ্যাডজাস্ট’ করে দেব।
চ্যানেলের দাম কমার বিষয়ে একপ্রকার সহমত সবপক্ষই। জিটিপিএল- কেসিবিপিএল’য়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিজয় আগরওয়ালের কথায়, চ্যানেলের দাম কমেছে অল্পই। দামের অদলবদল বেশি করে শুরু হবে ফেব্রুয়ারি থেকে। পরের তিন মাসে স্পষ্ট বোঝা যাবে, মানুষ কী দেখছেন বা দেখতে চাইছেন। তখনই নিজেদের দাম বদলাতে শুরু করবে চ্যানেলগুলি। সিটি কেবলের কর্তা সুরেশ শেঠিয়া বলেছেন, দর্শক কী দেখবেন, তার উপর নির্ভর করবে চ্যানেলের দাম। যেগুলি দর্শক দেখবেন না, সেগুলির দাম কমছে এবং আরও কমবে। নতুন এমএসও সংস্থা আকাঙ্খা ডিজিটালের ডিরেক্টর অলোক জানার কথায়, অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই চ্যানেলগুলি দাম কমাচ্ছে। ভবিষ্যতে তা আরও কমতে বাধ্য।
কেন আগামীদিনে আরও দাম কমার ইঙ্গিত মিলছে? সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, এখনও সব দর্শক তাঁদের পছন্দের চ্যানেলের তালিকা দেননি বা অপারেটররাও তা নেননি। বহু জায়গায় দর্শকের তরফে চ্যানেল সংখ্যা চূড়ান্ত করার হার ১০ শতাংশও পৌঁছয়নি। ফলে কোন চ্যানেলের জনপ্রিয়তা কোন দিকে মোড় নেবে, তা এখনও অস্পষ্ট। দর্শক হারিয়ে ব্যবসা খোয়ানোর পথে হাঁটতে চায় না কেউই। সেই পরিস্থিতিতে জনপ্রিয়তা হারানো চ্যানেলগুলি চড়া দর চাওয়ার গোঁ ধরে রাখতে পারবে না। তাই ভবিষ্যতে দাম কমাবে অনেকেই। তাতে শেষ হাসি হাসবেন দর্শকই।