কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কেন এই আয়োজন? রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সূত্রের খবর, হঠাৎ কোথাও বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে গ্রাহকরা অনলাইনের পাশাপাশি ফোন করেও অভিযোগ জানাতে পারেন। তার জন্য হেল্প লাইন নম্বর সহ ডিভিশনাল, রিজিওনাল, জোনাল স্তরের অফিসগুলিতেও ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন গ্রাহকরা। বিচ্ছিন্নভাবে একেবারে স্থানীয় স্তরে বিভ্রাট হলে ফোনেই অভিযোগ জানাতে পারেন গ্রাহকরা। কিন্তু, বিভ্রাট তুলনামূলক বড় এলাকা জুড়ে হলে বা বেশি সংখ্যক গ্রাহক একসঙ্গে সমস্যায় পড়লে, ফোনের লাইন পাওয়া নিয়ে বেগ পেতে হয় গ্রাহকদের। সেই সমস্যা থেকে বরাবরের মতো গ্রাহকদের মুক্তি দিতেই নয়া একগুচ্ছ পরিষেবা সূচনার সিদ্ধান্ত হয়।
রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, রাজ্যে এখন বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকে না। কাজেই ‘লোডশেডিং’ও করতে হয় না। কিন্তু, গরম কালে ঝড়-বৃষ্টিতে অনেক সময় তার ছিঁড়ে, পোল ভেঙে গিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। তার জন্যই বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় মাটির নীচ দিয়ে তার পাতার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মিসড কল বা এসএমএস পরিষেবার সূচনা হয়ে গেলে গ্রাহকদের অনেক সুবিধা হবে। বণ্টন কোম্পানির সঙ্গে গ্রাহকদের যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবার চালচিত্র আগের তুলনায় অনেক বদলে গিয়েছে। গরম কালেও এখন আর বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকে না। বিদ্যুৎ বণ্টনে পরিকাঠামোও বাড়ানো হচ্ছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রাহকদের স্বার্থে নতুন নতুন ব্যবস্থা রূপায়ণ করা হচ্ছে।
কীভাবে নয়া পরিষেবার সুবিধা নিতে পারবেন গ্রাহকরা? বণ্টন কোম্পানির এক কর্তা বলেন, বর্তমানে কিছু জানানোর থাকলে গ্রাহকদের এসএমএস করা হয়। তার জন্য কনজিউমার আইডি’র সঙ্গে মোবাইল নম্বর ‘ম্যাপিং’ করা হয়েছে। নয়া ব্যবস্থায় এসএমএস করলে বা মিসড কল দিলেই কোনও গ্রাহককে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণের কাজও দ্রুত শুরু করা যাবে। কীভাবে, কোন নম্বরে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে, তা আগামী দিনে গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া হবে।