কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কাটোয়া-১ ব্লকের খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের পানুহাট বারুজীবী পল্লির বাসিন্দা মাধব মহালদারের অভিযোগ, আমি জেলাশাসকের দপ্তরের অধীন জেএম সেকশনে ২০১৮ সালের ১০জানুয়ারি সমস্ত বিবরণ দিয়ে অ্যাসিড ব্যবসার জন্য আবেদন করেছিলাম। সেখান থেকে আমাকে বলা হয়েছিল স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়া নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। তারপর আমি খাজুরডিহি পঞ্চায়েতে আবেদন করলেও দীর্ঘদিন ধরে আমাকে তা দিচ্ছে না।
খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের প্রধান আন্না দত্ত মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েতে নতুন বোর্ড গঠন হয়েছে। সার্টিফিকেট দিতে গেলে সমস্ত সরকারি নিয়ম দেখে তবেই দিতে হবে। দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে প্রচুর অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটে। তারপরেই পুলিস-প্রশাসনের ধরপাকড়ের জেরে অ্যাসিড বিক্রেতারা ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। প্রশাসনের অভিযানের পর দেখা যায়, বেশিরভাগ জায়গায় অ্যাসিড বিক্রেতাদের কোনও বৈধ লাইসেন্স নেই। এদিকে অ্যাসিড বিক্রেতাদের বিক্রি বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন সোনা-রুপোর গয়নার কারিগররা। তাঁরা সোনার গয়না পালিশ করার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাসিড পাচ্ছেন না। শহরের নিতাই কর্মকার নামে এক স্বর্ণ কারিগর বলেন, সোনা পালিশের জন্য নাইট্রিক এবং সালফিউরিক অ্যাসিড দরকার। কিন্তু ওই দুই প্রকার অ্যাসিড খোলা বাজারে না মেলায় বেশি টাকা খরচ করে ফারনিশ(সোনার গয়না পালিশ করার জন্য এক ধরনের পদ্ধতি) পালিশ করাতে হয়।
অ্যাসিড বিক্রেতারা বলেন, কী কী ধরনের অ্যাসিড আমরা বিক্রি করতে পারব। তাছাড়া কোথায় ব্যবসা করব তার সমস্ত বিবরণ লিখে আবেদন করেও লাইসেন্স পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ অন্যান্য জেলাগুলিতে আবেদন করলেই দ্রুত লাইসেন্স পাওয়া যাচ্ছে। এক ব্যবসায়ী নিমাইচন্দ্র প্রামাণিক বলেন, আমি হাইড্রোক্লোরিক, সালফিউরিক, নাইট্রিক, হাইড্রোজেন ফার অক্সাইড, অ্যাসিট্রিক এবং কার্বোলিক নিয়ে মোট ৬ প্রকার অ্যাসিড বিক্রি করতে চাই। তার বিবরণ জমাও দিয়েছিলাম প্রশাসনের কাছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স পাচ্ছি না।
কাটোয়া-১ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও প্রসূন প্রামাণিক বলেন, পঞ্চায়েত কেন ছাড়পত্র দিচ্ছে না সেটা খোঁজ নিয়ে দেখব।