বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তাহলে সুবিধাটা কোথায়? ট্রাইয়ের নির্দেশ অনুযায়ী, ১০০টির পর পে চ্যানেল যুক্ত হলে ২৫টি পর্যন্ত অতিরিক্ত চ্যানেলের জন্য তাদের দাম ছাড়াও আরও ২০ টাকা ক্যাপাসিটি ফি দিতে হবে। কিন্তু ১০০টির মধ্যেই পে চ্যানেল নিলে সেই ২০ টাকা লাগবে না।
এক সময় সেট টপ বক্স বসিয়ে কেবল টিভির ডিজিটাইজেশনের উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই ব্যবস্থা চালু করতে কাছা খোলা অবস্থা হয়েছিল কেন্দ্রীয় টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা ট্রাইয়ের। পছন্দের চ্যানেল দেখার জন্য টাকা মেটানোর উদ্যোগ ফের শুরু হয়েছে। এবারও সেই কাছা খোলা অবস্থা থেকে নিজেদের তুলে ধরতে পারেনি ট্রাই। তাই প্রথমবার বেঁধে দেওয়া সময়সীমা বদলাতে হয়েছে তাদের। চ্যানেল বা ব্রডকাস্টার, কেবল সংস্থা বা এমএসও এবং কেবল অপারেটর— কোনও পক্ষই সঠিক পরিকাঠামো নিয়ে তৈরি না থাকায় বিপাকে পড়েন গ্রাহক বা দর্শক। পরিস্থিতি জটিল বুঝে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে নয়া নিয়ম চালু করার রাস্তা থেকে পিছু হটে ট্রাই। বলা হয়, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হবে নয়া নিয়ম। এবারও যাতে সময়সীমা না ফস্কায়, তাই উদ্যোগী হয়েছে ট্রাই নিজেই। তারাই এবার নয়া নিয়ম নিয়ে বোঝানোর ভার নিয়েছে। গ্রাহককে এসএমএস করে ট্রাই জানাচ্ছে, নতুন পদ্ধতিতে পছন্দের চ্যানেলের জন্যই শুধু টাকা দেবেন গ্রাহক। সাধারণ মানুষের কাছে যে এসএমএস আসছে, তাতে অবশ্য ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন পদ্ধতি চালু হওয়ার বিষয়টির উল্লেখ নেই। এই ব্যাপারে বিশদে জানতে তারা কেবল অপারেটর বা কেবল সংস্থাগুলির মতো পরিষেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে। আর বলেছে, ট্রাইয়ের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।
যে ক’টি চ্যানেল দর্শক দেখবেন, শুধু তার জন্যই দিতে হবে টাকা, এই নিয়ম চালু করতে উঠেপড়ে লাগে ট্রাই। কিন্তু তাড়াহুড়ো করায় সেই নিয়মের শর্তগুলি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয় সব মহলে। প্রথম বিভ্রান্তি শুরু হয় ১৩০ টাকায় (জিএসটি ছাড়া) ১০০টি চ্যানেল দেখানো নিয়ে। বিষয়টিতে স্বচ্ছতার অভাব আছে বুঝে ট্রাই জানিয়ে দেয়, ১৩০ টাকায় যে শুধু ফ্রি টু এয়ার চ্যানেলই নিতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। সেখানে রাখা যেতে পারে নিজস্ব পছন্দের ফ্রি টু এয়ার চ্যানেল, পে চ্যানেল, যে কোনও পে চ্যানেলের ঘোষিত প্যাকেজ বা এই সবক’টিই। তবে এইচডি চ্যানেল এখানে রাখা যাবে না।