পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এ রাজ্যে ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পের প্রসারের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। তাদের আওতায় থাকা যে এস্টেট বা জমিগুলি আছে, সেখানে শিল্প গড়তে পারে যে কোনও সংস্থা। তার জন্য দামও যে খুব চড়া দিতে হবে, তা নয়। বরং ছোট ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের আওতায় থাকা ওই সংস্থা শিল্পের জন্য পরিকাঠামো তৈরি করে দিয়েছে, যা উদ্যোগপতিদের বিশেষভাবে সুবিধা দেবে। রাস্তা তৈরির পাশাপাশি জল ও বিদ্যুতের জোগান থাকায়, শিল্প গড়া সেখানে অনেক সহজ। যাতে অল্প পুঁজিতে ছোট শিল্পপতিরা সেখানে কাজ শুরু করতে পারেন, তার জন্য জমির দামে বিশেষ ছাড়ের বন্দোবস্তও করা হয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, সেখানে চাইলেই জমি পাবেন সবাই, বলছেন দপ্তরের কর্তারা।
এতদিন পর্যন্ত সরকারি পার্কে বড় বিনিয়োগ এলে সেখানে কোনও শিল্প উপদেষ্টা সংস্থাকে দিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বা লগ্নির জল মাপত রাজ্য। কিন্তু ছোট শিল্পের জন্য সেই কাজটি এতদিন ব্রাত্যই ছিল। তাহলে এখন কেন এই উদ্যোগ? ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, আমাদের সংস্থাটির বেশ পুরনো। সেখানে বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন শিল্পসংস্থাকে জমি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বহু জায়গায় জমি নিয়ে কোনও কাজ করেনি অনেক সংস্থাই। তাদের থেকে জমি ফেরত চাইতে গেলে আইনি জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আমরা তাই আগে থেকে হোমওয়ার্ক না করে এগচ্ছি না। আগে দেখে নিচ্ছি, আবেদনকারী সংস্থাগুলি আদৌ জমিতে শিল্প গড়তে উৎসুক কি না বা তাদের সেই আর্থিক ক্ষমতা আছে কি না। তবে আমরা সেই কাজটি নিজের কাঁধে রাখছি না। সেই কারণেই তৃতীয় পক্ষ হিসেবে একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছে, যারা আগ্রহী শিল্পসংস্থাগুলির ক্ষমতা খতিয়ে দেখবে। এতে যেমন স্বজনপোষণের দায়ভার থাকবে না, তেমনই কাজটিতে পেশাদারিত্বের ছাপ থাকবে, দাবি বিপ্লববাবুর। ইতিমধ্যেই এমন প্রায় ৩০টি সংস্থাকে ওই সংস্থার মাধ্যমে যাচাই করে তার পরেই জমি দিয়েছেন তাঁরা।
কর্পোরেশনের হাতে থাকা পার্কগুলির মধ্যে কোন কোন জায়গায় কতটা জায়গা পড়ে আছে, তারই একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে সম্প্রতি। এখনও পর্যন্ত ১৫টি এস্টেটকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে এখনও খানিকটা করে জায়গা ফাঁকা আছে। সেই তালিকায় আছে কল্যাণী, বোলপুর, দুর্গাপুর, বাউরিয়া, সন্তোষপুর, অশোকনগর, রায়গঞ্জ, বেহালা, গড়িয়া সহ কয়েকটি জায়গা। যাতে এই এস্টেট বা পার্কগুলিকে উদ্যোগপতিদের কাছে তুলে ধরা যায়, তার জন্য চেষ্টা চলছে। কিন্তু তার আগে শিল্প গড়ার সদিচ্ছা বাজিয়ে দেখবে রাজ্য।