বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য এদিন, শিল্পী পারভিন সুলতানের হাতে সংস্থার পক্ষ থেকে শ্যাম সুন্দর কোং সর্বোত্তম পুরস্কারটি তুলে দেন শ্রীমতি বকুল সাহা, শ্রীমতি বেলা সাহা ও রূপক সাহা। এরপরই শুরু হয় শিল্পী পারভিন সুলতানার সুরের মূর্চ্ছনা। যা মোহিত করে, সম্মোহিত করে রেখেছিল উপস্থিত সকলকেই। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেছেন তবলায় অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হারমোনিয়ামে জ্যোতি গুহ। পদ্মশ্রী ও পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিতা পারভিন সুলতানা জানান, শ্যাম সুন্দর কোং-এর সর্বোত্তম সম্মান পেয়ে আমি বিহ্বল হয়ে পড়েছি। সম্মানিতও বোধ করছি। তিনি আরও বলেন, ঈশ্বরের অসীম কৃপা যে আমি সামান্যতম কিছু করতে পেরেছি যার জন্য এই পুরস্কার। এটি আসলে আমার প্রতি কলকাতার মানুষদের ভালোবাসারই প্রতীক। তার জন্য সত্যিই আমি কৃতজ্ঞ। জীবনে অনেক পুরস্কারই পেয়েছি। কিন্তু শ্যাম সুন্দরের এই সর্বোত্তম পুরস্কারটি সত্যিই আমার কাছে ‘স্পেশাল’। যা আমাকে আগামী দিনে আরও অনেক কিছু কাজ করার প্রেরণা জোগাবে।
পারভিন সুলতানার পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত করা হয় আরও এক প্রবাদপ্রতীম শিল্পী বিরজু মহারাজকেও। তিনি কত্থক নৃত্যের জন্য পরিচিত 'মহারাজ' পরিবারের অন্যতম সদস্য, তাঁর পরিবারের অন্যান্য প্রখ্যাত শিল্পীরা হলেন পিতা ও গুরু আচান মহারাজ ও দুই কাকা শম্ভু মহারাজ এবং লাচ্চু মহারাজ। কত্থক নৃত্যে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে এই অনুষ্ঠানে সম্মান জানানো হয়।
শ্যাম সুন্দর কোং সর্বোত্তম সম্মান নামক পুরস্কারটি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সংস্থার কর্ণধার রূপক সাহা বলেন, লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কারটি কিংবদন্তীদের সম্মান জানানোর এক অনবদ্য মাধ্যম। শিল্পকর্ম দিয়ে সমাজে কীর্তি স্থাপনের যে বিরাট উচ্চতায় তাঁরা নিজেদের নিয়ে গিয়েছেন এবং নিজেদের এক একটি শিক্ষাক্ষেত্র হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। তাঁদের সম্মান প্রদানের মধ্য দিয়ে আগামী প্রজন্মকেও জীবনে এগিয়ে যেতে এবং কীর্তি স্থাপনে উৎসাহ দেবে এই পুরস্কার। রূপকবাবু আরও জানান, গতবছর এই সম্মান পেয়েছেন সরোদ সম্রাট উস্তাদ আমজাদ আলি খান। আর এবছর পেলেন বেগম পারভিন সুলতানাজির মত বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্না ও অনবদ্য কন্ঠস্বরের অধিকারিণী শিল্পী। তাঁকে সম্মান জানাতে পেরে আমরা আন্তরিকভাবে গর্বিত।
শ্যাম সুন্দর আয়োজিত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এই উৎসবটি শুরু হয়েছে ৬ জানুয়ারি। চলবে ৯ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত। পারভিন সুলতানা ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে থাকবেন, বিশিষ্ট বেহালাবাদক এল শঙ্কর, সঙ্গীতশিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তী, বিশিষ্ট তবলাবাদক যোগশ সামসি, যন্ত্রশিল্পী সতীশ পত্রী, বংশীবাদক তথা গায়ক রসিকা শেখর, ফিউশনে নীলাদ্রীকুমার, ফোক শিল্পী মালিনী অয়স্থী এবং সরোদে আমন আলি বাঙ্গাস ও আয়ান আলি বাঙ্গাস।
অনুষ্ঠান শেষে, কথা প্রসঙ্গে সংস্থার গোড়ার কথা বলছিলেন রূপকবাবু। জানালেন, ৫০ বছরের পুরানো প্রতিষ্ঠান শ্যাম সুন্দর জুয়েলার্স। যার পথ চলা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের ঢাকা থেকে। দেশভাগের পর সংস্থাটি ত্রিপুরায় আগরতলায় চলে আসে। এরপর সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে অবশেষে ২০১১ সালে তিলোত্তমা কলকাতাতেও নিজেদের শিকড় বিস্তার করে। ১৩১এ নম্বর রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের(ট্রায়াঙ্গুলার পার্কের নিকটে) শোরুমটিই শ্যাম সুন্দর জুয়েলার্সের প্রথম। এরপর বেহালায় ৪০১ ডায়মণ্ড হারবার রোড, কলকাতা-৩৪ এ দ্বিতীয় শোরুম এবং তৃতীয় শোরুম খোলা হয় বারসতের ৬/১/১ বি যশোর রোডের ডাকবাংলো মোড়ে, কলকাতা ১২৬।