বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, রাজ্যের আলু উৎপাদনের একটা বড় অংশ বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি ও বর্ধমান জেলাতে হয়। আলু ওঠার পর হিমঘরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। হিমঘরে মজুত রাখা আলু সারা বছর ধরে রাজ্যের মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটায়। আলু ব্যবসায়ী সমিতি ও হিমঘর মালিক সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন রাজ্যের ৪৭০টি হিমঘরের মধ্যে ১৭০টিতে প্রায় ৫৭ লক্ষ প্যাকেট আলু মজুত রয়েছে। গত বছর বাঁকুড়া জেলার মোট ৪৬টি হিমঘরে আলু রাখা হয়েছিল। যার মধ্যে এখনও ৪৪টি হিমঘরে প্রায় ৯ লক্ষ প্যাকেট আলু পড়ে রয়েছে। শুধু কোতুলপুর এলাকার ৬টি হিমঘরেই প্রায় পাঁচ লক্ষ প্যাকেট আলু পড়ে রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ৩২ লক্ষ প্যাকেট পড়ে রয়েছে। জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ হিমঘর এখনও খোলা রয়েছে।
হুগলি জেলার ১৪২টি হিমঘরের মধ্যে ৩০টিতে প্রায় ৮ লক্ষ প্যাকেট আলু পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে, বর্ধমানে এখনও প্রায় ৮ লক্ষ প্যাকেট আলু হিমঘরগুলিতে পড়ে রয়েছে। হিমঘর সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, আলু ওঠার সময়ে তা মজুত রাখার জন্য বহু চাষি ও ব্যবসায়ী ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেন। হিমঘর মালিকের মাধ্যমেই ওই ঋণ পাওয়া যায়। মজুত রাখা ওই আলু বিক্রি করেই ঋণ ও হিমঘরের ভাড়া মিটিয়ে বাকি টাকা চাষি বা ব্যবসায়ীরা পান। কিন্তু, এবার পুজোর পর থেকেই ক্রমাগত আলুর দাম কমতে থাকায় পকেট থেকে গচ্চা যাওয়ার আশঙ্কায় ওই সমস্ত চাষি ও ব্যবসায়ীরা আলু বের করেননি। ওই আলু বিক্রি করে লাভ তো দূরের কথা স্টোর ভাড়া মেটাতেও পকেট থেকে গচ্চা দিতে হবে চাষিদের। তাই চাষিরা হিমঘর থেকে আলু বের করার আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ।
বাঁকুড়া জেলা হিমঘর সমিতির সভাপতি দিলীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের জেলায় এখনও প্রায় ৯ লক্ষ প্যাকেট আলু মজুত রয়েছে। এই আলুর চাহিদা একেবারেই নেই। তাই চাষিরা আলু বের করার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বারবার নোটিস পাঠিয়ে ও মাইকিং করেও স্টোর খালি করতে পারছি না। এর পরেও কাজ না হলে আমাদেরই নিলাম করে স্টোর খালি করার ব্যবস্থা করতে হবে। দিলীপবাবু বলেন, স্টোর মেরামতির জন্য কমপক্ষে দেড় মাস সময় প্রয়োজন। তাই দ্রুত আলু খালি করতে না পারলে নতুন বছরে চাষি ও সাধারণ মানুষ উভয় পক্ষই সমস্যায় পড়বে।