বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
রাজ্য পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, এতদিন পর্যন্ত নতুন বাণিজ্যিক গাড়ির কেবল প্রথমবার সিএফ হত দু’বছর পর। তারপর থেকে প্রতি বছর নয়া গাড়ির সিএফ করানো বাধ্যতামূলক ছিল। সেই জায়গা থেকে নয়া নির্দেশিকায় মালিকদের অনেকটাই ‘সুবিধা’ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে ওয়াকিবহাল মহল। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নতুন গাড়ির ক্ষেত্রে প্রথম আট বছর সিএফ করাতে হবে দু’বছর অন্তর। আট বছর পর থেকে সিএফ করাতে হবে এক বছর ব্যবধানে।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, কেবল সিএফ করানোর সময়েই সাজিয়ে-গুছিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বাণিজ্যিক গাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে নতুন নয়। কেউ ১৫ দিন কেউ বা ৩০ দিনের জন্য গাড়ি বসিয়ে রেখে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করিয়ে তবেই মোটর ভেহিকেলস অফিসে সিএফ করাতে নিয়ে যান। সিএফ হয়ে গেলেই নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে আর মালিকরা গুরুত্ব দেন না বলে অভিযোগ। এক বছর অন্তর সিএফের নিয়ম চালু অবস্থাতেই রাস্তায় বহু ঝড়ঝড়ে বেসরকারি বাস-ট্রাক চলতে দেখা যায়। আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। তাতেই প্রশ্ন উঠছে, নতুন গাড়ির দু’টি সিএফের ব্যবধান বাড়লে গাড়ির হাল কোন পর্যায়ে পৌঁছবে? পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, যেখানে পথ সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সেখানে এই সিদ্ধান্ত বেমানান। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কাই বাড়বে।
যদিও এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন মালিক সংগঠনগুলির নেতারা। অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, কোনও মালিক পেটের দায়েই রাস্তায় গাড়ি নামান। রাস্তায় গাড়ি নিয়মিত চালাতে গেলে রক্ষণাবেক্ষণ করতেই হবে। এটা দৈনন্দিন, আবশ্যিক কাজের মধ্যেই পড়ে। কাজেই যে আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই দাবি আমাদের দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। এতে মালিকদের আর্থিক বোঝা লাঘব হবে। মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বোস বলেন, এই সিদ্ধান্তে মালিকদের সুবিধা হলেও যাত্রীদের আশঙ্কার কিছু নেই। কারণ, রক্ষণাবেক্ষণের মান অটুটই থাকবে। মালিকদের একটু গাড়ির উপরে নজর বেশি দিতে হবে, তাহলেই হবে।
যেসব বাণিজ্যিক গাড়িতে বিপজ্জনক বা ক্ষতিকর জিনিসপত্র বহন করা হবে, সেই গাড়ির ‘বডি’র রং সাদা করা, এবং ট্রাকে মালপত্র বহন করলে তা ঢাকা অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা।