নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভারতের মাটিতে প্রথম দিন-রাতের টেস্ট আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। তবে টেস্ট ক্রিকেটে জনপ্রিয়তা ফেরানোর এই উদ্যোগে খেলাটার গুণমান যাতে বিনষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে সজাগ থাকার পরামর্শও দিয়েছেন শচীন তেন্ডুলকর। তাই স্রেফ বাহার ও বৈভবের নিরিখে নয়, দেশের মাটিতে প্রথমবার গোলাপি বলে টেস্ট আয়োজন কতটা সফল হল, ম্যাচের শেষেই তা মূল্যায়ণ করতে চান লিটল মাস্টার। এক সাক্ষাৎকারে শচীন বলেন, ‘দিন-রাতের টেস্ট দেখার আকর্ষণে ইডেনের দর্শক গ্যালারি যে কানায় কানায় ভরে যাবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু পিঙ্ক বল টেস্ট কতটা সফল হল তার বিশ্লেষণ ম্যাচের শেষে করাই ভালো। শিশির কিংবা অন্যান্য কিছু ফ্যাক্টর এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। সে সব না দেখা পর্যন্ত কিছু বলা উচিত নয়। আমি মনে করি, কোনও কিছুর জন্যই টেস্ট ক্রিকেটের গুণগত মানের সঙ্গে আপোস করা যায় না।’
হেমন্তের ইডেনে দিন-রাতের টেস্টে শিশির একটা বড় সমস্যার কারণ হতে পারে বলে আগেই শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন শচীন। আবার টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ফেরাতে এই ম্যাচের সময় সূচির তারিফও করেছেন তিনি। তাই ভারতীয় দলের থিঙ্ক-ট্যাঙ্ককে ম্যাচের পর দিন-রাতের টেস্ট নিয়ে ময়নাতদন্তে বসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। শচীনের কথায়, ‘এই ম্যাচের দুটো দিক রয়েছে। একটি অবশ্যই প্রচুর সংখ্যক দর্শক সমাগম। উল্টোদিকে অনভ্যস্ত কিছু নেতিবাচক ফ্যাক্টর। এই বিপরীত পরিস্থিতির মাঝেও টেস্ট ম্যাচের আনুষঙ্গিক বিষয়গুলি যাতে ঠিকঠাক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি দেখা যায় রাতের খেলায় শিশিরের কারণে বল ভিজে যাচ্ছে এবং ম্যাচে প্রভাব ফেলছে, সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কী করণীয় তা নিয়ে ভাবতে হবে। আর দুটি ক্ষেত্রেই যদি ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়, তবে দিন-রাতের টেস্টকে সব ভালোর কাহিনী (উইন-উইন স্টোরি) বর্ণনা করতে হবে।’ শচীনের মতে, ক্রিকেট নিয়ে দেশের পরিকল্পনা ও চিন্তাধারা যে আধুনিক হচ্ছে পিঙ্ক বল টেস্টই তার প্রমাণ।
বলা হচ্ছে ইডেনে দিন-রাতের টেস্টে ছড়ি ঘোরাবেন পেসাররা। স্পিনাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না। কিন্তু শচীন মনে করছেন, গোলাপি বলের কারণে ঘাসের পিচেও স্পিনাররা সুবিধা পেতে পারে। এই প্রসঙ্গে গত বছর পার্থের পিচে অজি স্পিনার নাথান লিয়ঁর ৮ উইকেট দখলের উদাহারণ মেলে ধরেন তিনি। উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক দিন-রাতের টেস্টে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইডেনে হাজির থাকবেন শচীন।