কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বলা হচ্ছে ইডেনে দিন-রাতের টেস্টে ছড়ি ঘোরাবেন পেসাররা। স্পিনাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না। কথাটা মানলেও তেমন আমল দিচ্ছেন না ভেত্তোরি। তাঁর দাবি, স্পিনারদের ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে তারাও কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে। বুধবার অনুশীলন শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা জানালেন, ‘সবাই বলছে গোলাপি বলে স্পিনাররা সুবিধা করতে পারবে না। পেসাররাই ফায়দা তুলবে। তবে আমি মনে করি, যে কোনও ম্যাচেই স্পিনাররা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। তারা ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দিনের প্রথম দুই সেশনে স্পিনাররা খুব কাজে দেবে। এসজি বলে ভালো শুরুর ভিত গড়ে দিতে পারে স্পিনাররা। সে জন্য তাদের সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে।’
গোলাপি বলে ব্যাটসম্যানদের কী ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ভেত্তোরি। কিংবদন্তি বাঁহাতি স্পিনারটির কথায়, ‘সাধারণত দিনের বেলায় গোলাপি বলে কোনও সমস্যা হয় না। সমস্যা হতে পারে ফ্লাডলাইট জ্বলার পর। কলকাতায় এখন খুব তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা নামে। আর সেটাই বড় ভাবনার বিষয়। কারণ গোধূলিবেলায় বল বাড়তি স্যুইং করতে পারে। তার উপর দুই আলোর (দিনের আলো ও ফ্লাডলাইট) সংমিশ্রণে গোলাপি বলের দৃশ্যমানতা নিয়েও সমস্যায় পড়তে পারে ব্যাটসম্যানরা। আমার মনে হয়, তখনই ম্যাচটা জমবে। তখনই আমরা গোলাপি বলের আসল রূপটা দেখতে পাব।’
নিজে একজন স্পিনার হয়েও দিন-রাতের টেস্টে পেসারদের সম্ভাব্য কার্যকরীতা নিয়েও কথা বলেছেন ভেত্তোরি। গোলাপি বলে খেলার জন্য বাংলাদেশ দলের চার পেসার মুখিয়ে রয়েছে বলে তিনি জানালেন। প্রসঙ্গক্রমে তাঁর মন্তব্য, ‘গোলাপি বলে বোলিং করার জন্য আমাদের চার পেসার এখন থেকেই দারুণ রোমাঞ্চিত। ওদের জন্য বিষয়টা দারুণ। কারণটা অবশ্যই গোলাপি বলের বাড়তি স্যুইং ও বাউন্স। আশা করব, সুবিধাটা ওরা কাজে লাগাবে।’ সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘এসজি বল অন্য বলের থেকে আলাদা। খুব কম খেলোয়াড়েরই এই বলে খেলার অভ্যাস রয়েছে। তবু আমি বলব, নতুনত্বের মধ্যেই খেলাটাকে উপভোগের রসদ ওদের খুঁজে নিতে হবে। আমার ধারণা, ইডেনে ঐতিহাসিক টেস্টে প্রচুর দর্শক সমাগম হবে। ভরা গ্যালারির সামনে একটা দল হিসেবেই আমরা দিন-রাতের টেস্ট উপভোগ করার চেষ্টা করব।’