উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
উপমহাদেশের মাটিতে প্রথম দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর একটায়। যেখানে ভারত খেলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ইডেনে ঘণ্টা বাজিয়ে ম্যাচের শুভ সূচনা করবেন শেখ হাসিনা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা সফরে হাসিনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শনিবার বাংলাদেশ স্পেশ্যাল সিকিউরিটি ফোর্সের ১১ জন অফিসার সহ মোট ২১ জনের একটি প্রতিনিধি দল সিএবি’তে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন পথ দিয়ে বিসি রায় ক্লাব হাউসে প্রবেশ করবেন, যে লিফটে চড়ে তিনি তিন তলায় উঠবেন, তা ঘুরে দেখেন এসএসএফের কর্তারা। তিন তলায় প্রেসিডেন্ট বক্সে হাসিনার বসার বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যে ঘরটিতে তিনি বসবেন, সেখান থেকে এসি’র অবস্থান বদলের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ঘরের খোলনলচেও বদলাতে হবে সিএবি’কে। শুধু তাই নয়, হাসিনা যে বক্সে বসবেন, সেখানে আইএসডি হট লাইন এবং উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। পুরো কাজটাই নিয়ন্ত্রণ করবে রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা।
ম্যাচের প্রথম সেশনে প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে খেলা দেখার কথা হাসিনার। ইডেনেই তিনি মধ্যাহ্নভোজ সারতে পারেন। হাসিনার জন্য শহরের একটি অভিজাত হোটেল থেকে খাবার আসবে। তবে সেই খাবার সার্ভ করার আগে পরীক্ষা করে দেখবেন হাসিনার নিরাপত্তারক্ষীরা। এমনকী, সিএবি’র কিচেনে সিসিটিভি বসাতে বলা হয়েছে।
বিকেল তিনটের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হোটেলে ফিরে যাওয়ার কথা। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর ফের সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ইডেনে যাবেন হাসিনা। ডিনারের পর অংশ নেবেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। প্রথম দিনের খেলা শেষে ক্রিকেটের নন্দনকাননে সম্মান জানানো হবে ২০০০ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আয়োজিত প্রথম টেস্টে খেলা দুই দলের ক্রিকেটারদের। গান গাইবেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী রুনা লায়লা ও জিৎ গাঙ্গুলি। বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, শচীন তেন্ডুলকর, বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান।
অনুষ্ঠানের পর গোলাপি রঙের আতসবাজি প্রদর্শনী হওয়ার কথা থাকলেও, হাসিনার নিরাপত্তার কারণে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারণ, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল জানিয়েছে,আতসবাজির শো করার জন্য কলকাতা পুলিসের থেকে অনুমতি নিতে হবে।
এদিকে, ইডেন টেস্ট এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কলকাতা সফর নিয়ে শনিবার নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সব বিষয়ে সিএবি এবং বিসিসিআইকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।