কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত জুলাইয়ে কোপা আমেরিকার সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল আর্জেন্তিনা। বিজয়ী দলের হয়ে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন গ্যাব্রিয়েল হেসাস ও রবার্তো ফারমিনো। তবে সেই হার এখন নিছকই অতীত বলে মনে করছেন স্কালোনি। তাঁর মন্তব্য, ‘ব্রাজিলের কাছে হারের পর টানা পাঁচটি ম্যাচে আমরা অপরাজিত। জার্মানির মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও সমতা ফিরিয়েছে আর্জেন্তিনা। তাই মানসিকভাবে ছেলেরা এখন ভালো জায়গায় রয়েছে।’ মেসির প্রত্যাবর্তন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওকে নিয়ে নতুন কিছু বলার মতো শব্দ আমার অভিধানে নেই। মেসির অন্তর্ভুক্তি বাকিদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। তবে ব্রাজিল অবশ্যই শক্তিশালী দল। চোটের জন্য নেইমার খেলতে না পারলেও ওদের আপফ্রন্টে যথেষ্ট গভীরতা রয়েছে।’
শুক্রবারের ম্যাচে জয়ের জন্য আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলবে ব্রাজিল। অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভার মন্তব্য, ‘আমরা স্বাভাবিক খেলাই মেলে ধরার চেষ্টা করব। জানি, মেসির এই ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। ওর বিরুদ্ধে অতীতে প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতাই শুক্রবার কাজে লাগবে। মেসির মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলা অবশ্যই গর্বের। তবে নেইমারকে পেলে আমাদের দলের শক্তি অবশ্যই বাড়ত। এই ম্যাচ সবসময়ে ফিফটি-ফিফটি। গোলের সুযোগ যে দল কাজে লাগাতে পারবে তারাই জিতবে।’
কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অবশ্য কাঙ্ক্ষিত ছন্দে নেই ব্রাজিল। টানা চারটি ম্যাচে জয় অধরা তাদের। তা সত্ত্বেও আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে উপভোগ্য খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কোচ তিতে। দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আগে কী হয়েছে তা ভুলে যাওয়াই ভালো। গত কয়েকটি ম্যাচে আমরা প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছি বলে আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে জিততে পারব না, এমনটা ভাবা উচিত নয়। ফুটবলাররা জানে, কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়।’ বলা বাহুল্য, নেইমারের অনুপস্থিতিতে গোলের জন্য ব্রাজিল নির্ভরশীল গ্যাব্রিয়েল হেসাস এবং রবার্তো ফারমিনোর উপরে। চোটের জন্য আর্জেন্তিনার ডিফেন্ডার মার্কোস রোহো না থাকায় এই দুই স্ট্রাইকার বাড়তি সুবিধা পাবেন বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।