দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
কিন্তু কিবুর দলের এই বেহাল অবস্থা কেন? অনুসন্ধানে উঠে এল ব্যর্থতার কারণগুলি। যা নীচে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
১) জনসনকে ফিজিক্যাল ট্রেনার হিসাবে নিয়োগ করা। মূলত রাগবি দলের ট্রেনার হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর। রাগবির পর তিন ভারোত্তোলকদের ট্রেনার। তাই তাঁর ট্রেনিংয়ে লাভ তো নয়ই, এমনকী ক্ষতি হয়েছে শেখ সাহিল-মুনোজদের। মরশুমের প্রারম্ভিক পর্বেই তাঁরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। লিগে পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে তিন গোল খেয়েছিল। সেদিন শেষ ১৫ মিনিটে দুই গোল করে জহর দাসের গোল।
২) ছোট দলগুলির মধ্যে পিয়ারলেস পরিকল্পিত দল গড়েছে। লিগের প্রথম ম্যাচে কিবু ভিকুনা এমন একটি সুসংহত দলের বিরুদ্ধে স্বদেশি ডিফেন্ডারদের উপর আস্থা রেখেছিলেন। এই ব্যাপারে সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরি তো বটেই, এমন কি সত্যজিৎ চ্যাটার্জি-কম্পটন দত্তরা কোচকে গাইড করতে ব্যর্থ।
৩) স্ট্রাইকার সালভা চামোরো হেডে দক্ষ। কিন্তু এছাড়া তাঁর কোনও মুন্সিয়ানা নেই। বক্সে বিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটাচ্ছেন তিনি এমন দৃশ্য খুবই বিরল। দলের নতুন স্প্যানিশ স্টপার মোরান্তে খুবই ‘সফট’। কড়া ট্যাকল করতে তাঁকে দেখা যায় না। প্রতিপক্ষের আফ্রিকান খেলোয়াড়রা তাই তাঁকে সহজেই বেগ দিচ্ছেন। গুরজিন্দার কুমার গত তিন বছর মোহন বাগানে। ডিফেন্ডার হয়েও তাঁর হেড দুর্বল। তাই সঞ্জয় সেন কিংবা শঙ্করলাল চক্রবর্তী তাঁকে প্রথম একাদশে রাখতেন না। কিন্তু কিবু ভরসা করেছেন মধ্যম মানের গুরজিন্দারের উপর। রক্ষণে ‘অন্ধকার দশা’র কারণেই লিগে ৯ ম্যাচে ১০ গোল হজম করেছে মোহন বাগান।
৪) ডার্বিতে দারুণ খেলেছিল মোহন বাগান। সেদিন প্রতিপক্ষ দলে ছিলেন মূলত স্প্যানিশরাই। ক্রেসপি-মার্কোসদের বিরুদ্ধে যে উজ্জীবিত মনোভাব মোরান্তে-বেইতিয়ারা দেখিয়েছিলেন তা লিগের অন্য ম্যাচে পারেননি।
৫) মোহন বাগান কর্মকর্তারা গত ২৮ বছরে অচেনা বিদেশি নিয়েছেন খুব কম। এরকম বিদেশি নিয়ে গত তিন দশকে বেশি সফল ইস্ট বেঙ্গলই। এবার সেই ফর্মুলা থেকে সরে এসে ছ’জন অচেনা বিদেশি রিক্রুট করলেন সবুজ-মেরুন কর্তারা। মরশুমের প্রথম দুটি টুর্নামেন্টে অচেনা বিদেশি নেওয়ার চরম মূল্য দিতে হল বাগনকে। উল্লেখ্য, গত তিন মাসে বেইতিয়া, মোরান্তে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কলকাতার আবহওয়া, বিশেষত আর্দ্রতায় অসুবিধা হচ্ছে স্প্যানিশদের। টিম ম্যানেজমেন্টের আশা, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে ফুল ফোটাবেন এই স্প্যানিশরা। আশা না করে ওঁদের উপায় নেই। রিলিজ করতে গেলে স্পনসরহীন ক্লাবকে দিতে হবে মোটা জরিমানা।
৬) ড্যানিয়েল সাইরাস নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল কর্তাদের। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর হয়ে তিনি খেলেছেন এই মাসের প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু বেনবো ম্যাচে খেলতে গিয়ে তিনি অস্বস্তিতে পড়েন প্রখর রোদ আর আর্দ্রতার জন্য। বৃহস্পতিবার মহমেডান ম্যাচ শুরু হয় বেলা তিনটায়। তবুও কেন খেলানো হল ড্যানিয়েল সাইরাসকে? প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যেই দু’গোল হজম করে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ভিকুনা-ব্রিগেড।
৭) চুলোভা-ব্রিটো কম্বিনেশনটি মাঝে ক্লিক করে গিয়েছিল। ব্রিটোকে কিন্তু এরিয়ান ও মহমেডান ম্যাচে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা একটি কম্বিনেশন কিবু নিজেই নষ্ট করেছেন।