কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
(ডি মারিয়া-২, মিউনিয়ের)
প্যারিস, ১৯ সেপ্টেম্বর: ম্যাচ শেষ। দু’হাত আকাশের দিকে তুলে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার। সেই মুহূর্তে গ্যালারিতে আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশে ব্যস্ত নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপে। তাঁদের মুখেও আর্জেন্তাইন অ্যাটাকারটির প্রশংসা। কারণ, রিয়াল মাদ্রিদকে হারানোর নায়কের নাম যে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াই। ঘরের মাঠে তাঁর জোড়া গোলের সুবাদে জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযান শুরু করল পিএসজি। অনুভূত হল না নেইমার, এমবাপে ও কাভানির অভাব।
অন্যদিকে, রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই জিনেদিন জিদানের চোখেমুখে অস্বস্তির ছাপ। স্পষ্ট বুঝতে পারছেন, একটা কোচ ততটাই ভালো যতটা তাঁর দল। এই রিয়াল মাদ্রিদকেই তিনি টানা তিনবার ইউরোপের সেরা করেছেন। কিন্তু সেই দলে প্রবলভাবে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। পর্তুগিজ মহাতারকাটি দলবদল করার পর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ক্লাবটি ক্রমশই অন্ধকারের অতলে তলিয়ে যাচ্ছে। বেলজিয়ামের ইডেন হ্যাজার্ড কিংবা ওয়েলসের গ্যারেথ বেলরা এখনও নিতান্তই সাদামাটা। ম্যাচের শেষে জিদানের পদত্যাগ দাবি করেছেন রিয়াল সমর্থকরা। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিশ্বের কোনও কোচই এই দলকে নিয়ে তেমন কিছু করতে পারবেন না।
২০১৪ সালের আগস্টে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ম্যান ইউতে যোগ দিয়েছিলেন ডি মারিয়া। সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের সেরা হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাদ্রিদে আর মন বসেনি তাঁর। একটি মরশুম ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাটানোর পর ডি মারিয়া পিএসজি’তে আসেন। এই মুহূর্তে কোচ টমাস টুচেলের অন্যতম ভরসা ফিডেও। অনুরাগীরা এই নামেই ডাকতে পছন্দ করেন তাঁকে। স্প্যানিশে ফিডেও শব্দটির অর্থ নুডলস।
চোট ও সাসপেনশনের কারণে বুধবার গ্রুপ-এ’র ম্যাচে আপফ্রন্ট ত্রয়ীর সার্ভিস পায়নি পিএসজি। কিন্তু তাঁদের অভাব কার্যত একাই ঢেকে দিলেন ডি মারিয়া। ১৪ মিনিটে বার্নাটের পাস থেকে নেওয়া তাঁর বাঁ পায়ের শট প্রথম পোস্ট দিয়েই জালে জড়ায় (১-০)। ৩৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকেই নিখুঁত শটে রিয়াল গোলরক্ষক কুর্তোয়াকে হার মানান তিনি (২-০)। এই পর্বে রিয়াল মাদ্রিদ আক্রমণে উঠলেও তা গোল করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। গ্যারেথ বেলের একটি লক্ষ্যভেদ হ্যান্ডবলের কারণে বাতিল হয়। এছাড়া সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন বেনজেমা-হ্যাজার্ডরাও। মোদ্দা কথা, জিজু-ব্রিগেডে কোনও জুজু নেই যাকে প্রতিপক্ষ সমীহ করবে।
দ্বিতীয়ার্ধে প্যারি সাঁজাঁ’র প্রাধান্য ছিল সংশয়াতীত। ৬২ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুযোগ নষ্ট করেন ডি মারিয়া। এরপর নিষ্প্রভ হ্যাজার্ডকে তুলে লুকাস ভাসকুয়েজকে মাঠে নামান জিদান। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ভেরাত্তি-মার্কুইনহোসদের লড়াকু ফুটবল রিয়ালকে মাথা তোলার সুযোগ দেয়নি। ৭৭ মিনিটে বেনজেমার গোল অফ-সাইডে কারণে বাতিল হয়। ম্যাচের শেষ লগ্নে বার্নাটের পাস থেকে বিপক্ষ কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন মিউনিয়ের (৩-০)।