গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ম্যাচের পর টানেল দিয়ে বের হওয়ার সময়ে দীপেন্দু বলছিলেন, ‘ওই ম্যাচের কথা মনে পড়ছে। ওই ডার্বিটি ময়দানে আমাকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিল। এই ম্যাচটি হয়তো কোচিংয়ে আমার পায়ের তলার মাটি শক্ত করবে। রাজনীতির অভিজ্ঞতা কিন্তু কোচিংয়ে কাজ দিচ্ছে। গত পাঁচ বছর রাজনীতি করতে গিয়ে শিখেছি ম্যান ম্যানেজমেন্ট। সেটা এই ম্যাচের স্ট্র্যাটেজিতে কাজ দিয়েছে। আর্থার কোয়াসি আমার সেরা স্ট্রাইকার। মরশুমে ১২ ম্যাচে ১২ গোল ও করেছে। ডুরান্ডে নেভির বিরুদ্ধে ছ’টি গোল আছে। এই ম্যাচে ওকে বসিয়ে আমরা জন চিডিকে খেলিয়েছি। কারণ জন চিডি অনেকটা ওয়ার্কলোড নেয়। আর্থার বক্স স্ট্রাইকার। মিডিওদের সাপোর্ট দেওয়ার জন্য এই ম্যাচে আমরা খেলালাম জন চিডিকে। কামরন ফারুক মরশুমের অধিনায়ক। দারুণ ওভারল্যাপে গেলেও ওর ডিফেন্সিভ কোয়ালিটি ভালো নয়। মহম্মদ আমিরুলকে না খেলিয়ে ফিরোজ আলিকে বেছে নেওয়া হয় বেইতিয়ার মার্কার হিসাবে। মোহন বাগানের প্রাণভোমরা গোল পেয়েছে ফ্রি-কিক থেকে। কিন্তু এমনিতে ওকে খেলতে দেয়নি দমদম ফুটবল আকাদেমি থেকে উঠে আসা শক্তপোক্ত চেহারার ফিরোজ আলি। বাদ পড়া ফুটবলারদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেছি। সুজিত সাঁধু, ফিরোজদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য এক সঙ্গে খেয়েছি বুধবার। তারপর গিয়েছি নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন বিশ্বকর্মার পুজোর অনুষ্ঠানে। বিভিন্ন মণ্ডপে বস্ত্র বিতরণ করে ফিরেছি মাঝরাতে। সকাল থেকেই আবার হোয়াটসঅ্যাপে উজ্জীবিত করতে হয়েছে তীর্থঙ্করদের। দু’টি ভূমিকাই আমি উপভোগ করছি। রাজনীতির পাশাপাশি কোচিংয়ে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। সোমবার পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। রবিবার কোচিং করিয়ে বসিরহাট যাব। বৃহস্পতিবারও স্টেডিয়াম ছেড়ে বাড়ি যাওয়ার পথে পথেই খবর পেলাম এদিন লাল কার্ড দেখায় সোমবার আমাদের বিরুদ্ধে ক্রোমা নেই। ফুটবল দেবতা যেন আমাদের সঙ্গে আছেন।’
মোহন বাগান কোচ কিবু ভিকুনা মেনে নিলেন, লিগে মোহন বাগানের আশা শেষ। তাঁর মতে,‘প্রথম দশ মিনিটেই আমরা ম্যাচটি হেরে গিয়েছি। ভালো মাঠে মহমেডান এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে ভাবিনি।’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, গত দশ ম্যাচে
মোহন বাগান চারটি ম্যাচ হেরেছে। বড় টিম এত ম্যাচ
হারছে কেন? প্রশ্ন শুনে বিরক্ত কিবু বললেন,‘রক্ষণে
সমস্যা আছে। মরশুমের প্রথম দু’টি টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হলেও আমি অবশ্য চাপে নেই।’