কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ফুটবলার জীবনে অনেক ডার্বি খেলেছেন তিন প্রধানের হয়ে। তাঁর নামের পাশে রয়েছে ২৪৮টি গোল। মহমেডান জার্সি পরে মোহন বাগানের বিরুদ্ধে দীপেন্দুর শেষ ম্যাচ ২০১৪-১৫ সালে। সেবার লিগে ম্যাচটি ড্র হয়েছিল। তবে মহমেডানের হয়ে মোহন বাগানের বিরুদ্ধে দীপেন্দুর স্মরণীয় ম্যাচ ২০০৩-০৪ সালে ফেডারেশন কাপ সেমি-ফাইনাল। সেবার টাই-ব্রেকারে মহামেডান জিতেছিল। দীপেন্দু শেষ গোলটি করেছিলেন। এবার মরশুমের প্রথম সাক্ষাতে ডুরান্ড কাপে মোহন বাগানের কাছে মহমেডান স্পোর্টিং। সেই প্রসঙ্গে প্রাক্তন এই বাঙালি স্ট্রাইকার বলেন, ‘তখন বাবলুদা (সুব্রত ভট্টাচার্য) আমাদের কোচ ছিলেন। বৃহস্পতিবার অন্য লড়াই হবে। আমি ছেলেদের মগজে সেই মন্ত্র দিয়েছি। বলেছি, নিজেদের সেরাটা মাঠে দাও। জিতলে পারলে আমি সবাইকে পুরস্কার দেব।’
কী সেই পুরস্কার? মহমেডান স্পোর্টিংয়ের টিডি বলছেন, ‘গত ম্যাচে জেতার পর ফুটবলারদের নাইকি বুটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। ধরুন একটা বুটের দাম পাঁচ হাজার টাকা। আমি তিন হাজার দিয়েছি। বাকিটা ফুটবলাররা দিয়ে কিনেছে। মোহন বাগানকে হারাতে পারলে তেমনই ব্যবস্থা করব।’ দলে তীর্থঙ্কর সরকারের মতো ছ’সাতজন বাঙালি ফুটবলারের উপর ভরসা করছেন দীপেন্দু। প্রথম একাদশে তিন বিদেশির মধ্যে ডিফেন্ডার করিম ওমোলোজা, মিডফিল্ডার মুসা মুদ্দে নিশ্চিত। আপফ্রন্টে আর্থার কোয়াসি ও জন চিডির মধ্যে একজন শুরু করবেন। ইতিমধ্যেই লিগে কোয়াসি ৬টি গোল করেছেন। দলের বিদেশিরা আফ্রিকান হওয়ায় স্বস্তি দীপেন্দু’র। বললেন, ‘মোহন বাগানে স্প্যানিশদের থেকে আমাদের আফ্রিকানরা কলকাতার মাঠে বেশি কার্যকরী। তাছাড়া বৃহস্পতিবার ম্যাচের সময় বেশ গরম থাকবে। তাতে মোহন বাগানের বিদেশিরা সমস্যায় পড়তে পারেন। সেই সুযোগটাই আমাদের কাজে লাগাতে হবে।’
মোহন বাগানকে সমীহ করছেন মহমেডান টিডি। তিনি বললেন, ‘ওদের দলের হৃদপিন্ড হোসেবা বেইতিয়াই। ওকে আটকে দিতে পারলেই মোহন বাগান সমস্যায় পড়ে যাবে। আমরা বেইতিয়াকে জোনাল মার্কিংয়ে রাখব।’