রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিকে, চোট সারিয়ে অনুশীলনে ফিরলেও মঙ্গলবার প্রথম একাদশে মেসির থাকার সম্ভাবনা কার্যত নেই। তবে লা লিগার গত ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়াকে ৫-২ গোলে হারানোর পর কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দেকে স্বস্তি দিচ্ছে লুই সুয়ারেজের জোড়া গোল। অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে জয় তুলে নিতে মরিয়া বার্সেলোনা। তাদের নির্ভরযোগ্য ফুটবলার সের্গি রবার্তো বলেছেন, ‘অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়েই এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযান শুরু করছি আমরা। গতবার সেমি-ফাইনালে অ্যানফিল্ডের সেই কঠিন স্মৃতি এখনও ভুলিনি। তাই জয়ের লক্ষ্যে নামলেও রক্ষণ অটুট রাখতে হবে।’
পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে ইউরোপিয়ান সার্কিটে দু’বার মুখোমুখি হয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড এবং বার্সেলোনা। ১৯৯৮ সালের জানুয়ারি মাসে উয়েফা সুপার কাপের প্রথম পর্বের ম্যাচে বার্সেলোনা জিতেছিল ২-১ গোলে। জার্মানিতে ফিরতি পর্বের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়।
সোমবার বার্সেলোনার কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে বলেছেন, ‘দলের সঙ্গে মেসি ডর্টমুন্ডেই রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ও ম্যাচ ফিট নয়। ওর খেলার সম্ভাবনা কম। বরুসিয়া অত্যন্ত শক্তিশালী দল। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করা যে কোনও জার্মান ক্লাবের বৈশিষ্ট্য। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’ আপফ্রন্টে গ্রিজম্যান ও সুয়ারেজের পাশে কার্লেস পেরেজকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে বার্সা কোচের। মাঝমাঠে তিনি ভরসা রাখছেন বুস্কেতস-ফ্রেঙ্কি ডে জংয়ের উপর। এদিনের অনুশীলনে জেরার্ড পিকে ও লেঙ্গলেটকে বাড়তি সময় দিয়েছিলেন ভালভার্দে। পক্ষান্তরে, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ লুসিয়ান ফাভ্রের মন্তব্য, ‘বার্সেলোনার সঙ্গে আমাদের ফুটবল দর্শনের কিছুটা মিল রয়েছে। দু’টি দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে পছন্দ করে। পাশাপাশি রক্ষণও অবিন্যস্ত উভয়েরই। তাই মঙ্গলবার যে দল রক্ষণ অটুট রাখতে পারবে তারাই জিতবে।’
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: বুর্কি, হাকিমি, আকাঞ্জি, হামেলস, গুয়েরেইরো, ডিলানে, উইটসেল, ব্র্যান্ডট, মার্কো রেউস, জ্যাডন স্যাঞ্চো ও পাকো আলকাসের।
বার্সেলোনার সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন, নেলসন সেমেডো, জেরার্ড পিকে, ক্লেমেন্ত লেঙ্গলেট, জর্ডি আলবা, ফ্রেঙ্কি ডে জং, সের্গিও বুস্কেতস, সের্গি রবার্তো, আতোঁয়া গ্রিজম্যান, লুই সুয়ারেজ ও কার্লেস পেরেজ।