দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
ছেলের সাফল্যে মা বৈদেহীর চোখে আনন্দাশ্রু। তিনি জানিয়েছেন ‘বেদের অংশের নামে বড় ছেলের নাম রেখেছিলাম অথর্ব। তবে ওর ছেলেবেলা সুখের হয়নি। মাত্র দশ বছর বয়সেই বাবাকে হারাতে হয়েছিল। তখন অথর্বের বয়স মাত্র দশ। ওর ভাই আরও ছোটো। দুই ছেলেকে বড় করাই ছিল আমার কাছে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ। অনেক পরিশ্রম করেছি ছেলেদের মানুষের মতো মানুষ করব বলে। মা হিসাবে তাই আজ আমি গর্বিত। ওর বাবা যদি বেঁচে থাকতেন, উনিও খুশি হতেন।’
চোখের জল মুছতে মুছতে অথর্বের মা আরও জানালেন, ‘আমি কখনও এমন একটা দিন দেখব বলে আশা করিনি। ক্রিকেট খেলা অনেক ব্যয়সাপেক্ষ। ওর বাবার মৃত্যুর পর সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছিলাম। বাধ্য হয়েই অথর্বকে একদিন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তুই কি সত্যিই ক্রিকেট খেলবি? ও হ্যাঁ বলার পর আর কিছু ভাবিনি। ভালো স্কুলে পড়ানোর পাশাপাশি ওকে বড় ক্রিকেটার হিসাবে গড়ে তোলার জন্য চেষ্টার কোনও কসুর করিনি। অফিসের সহকর্মী, বন্ধুরাও এই লড়াইয়ে আমার পাশে থেকেছে। সবার কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। ছোট ছেলেটাও দাদাকে দেখে ক্রিকেট খেলছে। জানি না ও কতদূর কী করবে!’
মায়ের জীবন সংগ্রাম বাইশগজে বুক চিতিয়ে লড়াই করতে শিখিয়েছে অথর্বকে। স্বামীর মৃত্যুর পর বৈদেহী দেবী বাস কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন। ফাইনালে ছেলের খেলা দেখবেন বলে তিনি মহারাষ্ট্র পরিবহন দপ্তরের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের থেকে শুক্রবার ছুটিও নিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য যে, টিভি চ্যানেলে ভারত-বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচটি সম্প্রচারিত হয়, তার সংযোগ ছিল না অথর্বের বাড়িতে। তাই তাঁর মা’কে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে খেলা দেখতে হয়। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মাত্র পাঁচ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বৈদেহী দেবী জানান, ‘আমি গণপতি বাপ্পার কাছে প্রার্থনা করছিলাম যাতে ভারত জেতে। কম রান ওঠায় আমি একটু বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সিদ্ধিদাতা আমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেছেন।’