পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অথচ গত দেড় বছর বিস্মৃতির আড়ালে গিয়েছিলেন এই কামো। ২০১৭ সালের কলকাতা লিগে সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে দুরন্ত হয়ে উঠেছিলেন কামো। সেবার লিগের লড়াই শেষ হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ডার্বিতে। ওই বড় ম্যাচে রেফারি মোহন বাগানকে নায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত না করলে কামোর সৌজন্যে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর প্রশিক্ষণাধীন মোহন বাগান চ্যাম্পিয়ন হতে পারত। সেই ম্যাচে কামো দুরন্ত খেললেও অজ্ঞাত কারণে তাঁকে বাদ দেওয়া হয় আই লিগে। কামোকে নিয়েছিল গোকুলাম। আই লিগের ফিরতি পর্বে (২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে) হাঁটুর লিগামেন্টে চোট পেয়ে ছিটকে যান কামো। ফিরে যান আইভরি কোস্টে। সেখানে অপারেশনের পর গত বছর টালিগঞ্জের হয়ে খেলেছিলেন কিছু ম্যাচ। তারপর দেশে ফিরে গিয়ে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করান। জড়িবুটির চিকিৎসায় সুফল পেয়েছেন তিনি। আফ্রিকার মানুষদের এই ধরনের চিকিৎসার ওপর আস্থা বেশি। সোমবার কল্যাণীতে ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে কামোই তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন। একদা যে দল তাঁকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল তারা লিগের লড়াইয়ে ফিরতে কামোর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। কামো জানেন সেই কথা। আফ্রিকান স্ট্রাইকারটি বললেন,‘আই লিগে খেলতে ইস্ট বেঙ্গলকে হারানোই আমার লক্ষ্য। তাতে কোন দল লাভবান হবে তা নিয়ে ভাবছি না। দু’একটি আই লিগ দল যোগাযোগ করেছে। সোমবার ভালো কিছু করতে পারলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে। আমি তো এবার কলকাতায় আসতে চাইছিলাম না। বন্ধুপ্রতিম সোনাই চন্দ্র যোগাযোগ রাখছিল এপ্রিল থেকেই। পিয়ারলেসও প্রাথমিক কথা বলে। পরে দেখলাম ভবানীপুরের কোচ আমার পরিচিত। শঙ্করলালের কোচিংয়ে খেলেছিলাম দু’বছর আগে। তাই বেছে নিয়েছি ভবানীপুরকেই।’
ইস্ট বেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রোর ভাবনাতে সেই বৃহস্পতিবার থেকেই রয়েছেন কামো। তাঁকে রুখতে এই স্প্যানিশ কোচ কাসিম, না ক্রেসপি কাকে মাঝমাঠে রাখেন তা নিয়েই কৌতূহল রয়েছে ময়দানে। সেই ভবানীপুর সোমবার কল্যাণীতে ‘আলে ব্রিগেড’কে ধাক্কা দিয়ে মোহন বাগানকে লিগ দৌড়ে এগিয়ে দিতে পারে কী না সেটাই দেখার।