নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গত সোমবার পিয়ারলেসের কাছে হারে লিগের লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছিল ইস্ট বেঙ্গল। বৃহস্পতিবার কল্যাণীতে এরিয়ানের কাছে মোহন বাগানের ‘অবাক হারে’ পিয়ারলেস, ভবানীপুরের সঙ্গে খেতাবের সম্ভাবনায় ফের ভেসে উঠেছে লাল-হলুদ। এরই মধ্যে আই লিগের আগে দল পুনর্গঠনের আগে ক্লাবের অন্দরে শুরু হয়েছে আলোচনা। গত বুধবার ইস্ট বেঙ্গল কর্মসমিতির সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কোয়েস কর্তাদের। ইস্ট বেঙ্গল সচিব-সভাপতি কোয়েস প্রতিনিধিদের বলেন, ‘সদস্য-সমর্থকদের কাছে আই লিগের মতোই গুরুত্বপূর্ণ কলকাতা লিগ। রজত জয়ন্তী, সুবর্ণ জয়ন্তী, প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর মতোই ক্লাবের শতবর্ষে কলকাতা লিগ জিততে চাই আমরা। এটা কোচকে আপনাদেরই বোঝাতে হবে।’ এরপরেই টিমের ভুলত্রুটি নিয়ে আলোচনা হয়। এনরিকে-জবি জাস্টিনের যোগ্য বিকল্প স্ট্রাইকারকে এই দলে নেই তা কার্যত মেনে নেন কোয়েস প্রতিনিধিরা। সামাদ আলি রাইট সাইড ব্যাকে মোটামুটি সার্ভিস দিচ্ছেন। কিন্তু লেফট সাইড ব্যাকে কেউই মানিয়ে নিতে পারছেন না। গত বছর দুই সাইড ব্যাকে সামাদ ও চুলোভাই অধিকাংশ ম্যাচ খেলেছিলেন। এই পজিশনে যোগ্য ভারতীয়কে নেওয়া কথা ওঠে। গত বছর আই লিগে বোরহা ও জনি অ্যাকোস্টার জুটি দারুণ খেলেছিল। এবার বোরহাকে বেশ শ্লথ মনে হচ্ছে। তাই আলেজান্দ্রোর ভাবনায় লিগের জন্য বোরহা একটা সময় পর্যন্ত ছিলেনই না। আইএফএ নিয়ম বদলের পর তাঁকে কলকাতা লিগের জন্য সই করানো হয়েছে। মাঠের অবস্থা যদিও ভালো নয়, তবুও বোরহা-ক্রেসপি কম্বিনেশন বিরাট নির্ভরতা দিতে ব্যর্থ। লিগে সাত ম্যাচে ছটি গোল খেয়েছে ইস্ট বেঙ্গল। তাই রক্ষণের দুর্বলতাও উঠে আসে আলোচনায়। কোয়েস প্রতিনিধিরা দলের ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা অস্বীকার করেননি। এরপরেই শতবর্ষের কথা ভেবে আই লিগের আগে দল ‘রি-বিল্ড’ করার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ইস্ট বেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা কোয়েস প্রতিনিধিদের বলেন,‘দল আরও ভালো ভাবে দাঁড় করাতে আপনাদের যদি আর্থিক সমস্যা থাকে, তবে আমরা লগ্নি করতে রাজি। শতবর্ষ চলে গেলে ফিরে আসবে না। টিম পুনর্গঠনে আমরাও অর্থ দিতে রাজি।’
সভায় উপস্থিত কোয়েস কর্তারা বলেন,‘আমরা এই প্রস্তাব বেঙ্গালুরুতে জানিয়ে দিচ্ছি। আপনারাও চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’ বৃহস্পতিবার অজিত আইজ্যাকের সঙ্গে এসএমএসে এই নিয়ে মত বিনিময় হয়। কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের অন্যতম ডিরেক্টর সুব্রত নাগের সঙ্গেও কথা বলছে ক্লাব। লাল-হলুদের শীর্ষ কর্তা জানান,‘দল পুনর্গঠন করতে খোলা মনে আলোচনায় বসতে হবে কোচকে।’ কিন্তু কী করবেন আলেজান্দ্রো? তিনি কতটা নমনীয় হবেন তা নির্ভর করছে ইস্ট বেঙ্গল লিগে কোথায় শেষ করছে তার উপর। ঘটনা হল, কাসিম আইদারা ছাড়া সব বিদেশিই তাঁর ঘনিষ্ঠ এজেন্টদের আনা।