গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নতুন গঠনতন্ত্র মেনে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর সিএবি’তে নির্বাচন। বিনাযুদ্ধে আরও একবার বঙ্গ ক্রিকেটের সিংহাসন দখল সৌরভের কাছে শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ, সিএবি’তে এখন বিরোধী গোষ্ঠী খুবই দুর্বল। যদিও সভাপতি পদে সৌরভ দশ মাসের বেশি থাকতে পারবেন না। নতুন গঠনতন্ত্র মেনে একজন প্রশাসক টানা ছ’বছর পদাধিকারী থাকতে পারবেন। সৌরভের সেই মেয়াদ আগামী বছর জুলাইয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু বিসিসিআইয়ের এথিক্স কমিটির রায়ে সৌরভ এখন কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে। তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন, কোনওভাবেই দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান না। কিন্তু ডি কে জৈনের নির্দেশে, সৌরভ যেহেতু একটি পদেই থাকতে পারবেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে হয় সিএবি সভাপতি কিংবা দিল্লি ক্যাপিটালসের পরামর্শদাতার পদ বেছে নিতে হবে।
সিএবি সভাপতি থাকাকালীন সৌরভ ধারাভাষ্যকার হিসাবে কাজ করেছেন। ২০১৫ সালে গঠিত বোর্ডের তিন সদস্যের ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে গতবছর দিল্লি ক্যাপিটালসের পরামর্শদাতা নিযুক্ত হন। আর তার ফলেই সৌরভের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ জমা পড়ে বোর্ডের এথিক্স অফিসারের কাছে। যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখে সৌরভকে নোটিস পাঠিয়েছিলেন ডি কে জৈন। সেই চিঠি পাওয়ার পর আইনি পরামর্শদাতা বিশ্বনাথ চ্যাটার্জিকে সঙ্গে নিয়ে শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন সৌরভ। সেখানে সৌরভের আইনজীবী বলেছিলেন, ‘দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে সৌরভের কোনও আর্থিক চুক্তি নেই। আমার মক্কেল নীতি নির্ধারণের সঙ্গে যুক্ত নয়। শুধু ক্রিকেটারদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছে। তাই এটা স্বার্থের সংঘাতের মধ্যে পড়ে না। বোর্ডের ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি গঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালে। তার পরে স্বার্থের সংঘাতের নিয়ম চালু হয়েছে। তাছাড়া মহিলা দলের কোচ নিয়োগেও সৌরভ ছিলেন না।’
তবে সৌরভের আইনজীবীর যুক্তি পুরোপুরি মানতে রাজি নন বোর্ডের এথিক্স অফিসার। তিনি বলেছেন, ‘বোর্ডের নতুন সংবিধানের ৩৮ নম্বর ধারায় ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটিতে থাকা স্বার্থের সংঘাতের মধ্যেই পড়ে। যদিও সৌরভ যে লিখিত জবাব পাঠিয়েছিল, সেটাকেই পদত্যাগ হিসাবে গণ্য করা যায়। ২০১৯ সালেই আইপিএল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে সৌরভের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তবে সেটা স্বার্থের সংঘাতের মধ্যে পড়লেও তা নিয়ন্ত্রণযোগ্য।’ তবে একই সঙ্গে সৌরভকে ই-মেলে ডি কে জৈন কড়া ভাষায় জানিয়েছেন, ‘আইন না জানা কোনও অজুহাত হতে পারে না। এগুলি অবশ্যই জানানো উচিত ছিল। ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে স্বার্থের সংঘাতের আইনটি চালু হয়েছে বলে সৌরভকে এক্ষেত্রে দ্য বেনিফিট অব দ্য ডাউট দেওয়া যেতেই পারে। উনি হয়তো বুঝতে পারেননি, এই তিনটি পদে থাকলে স্বার্থের সংঘাত লঙ্ঘিত হয়। তাই বোর্ডকে জানিয়েছি, স্বার্থের সংঘাতের মধ্যে পড়ে এমন পদ থেকে সৌরভ যাতে সরে আসেন, তা নিশ্চিত করতে।’