নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এই মুহূর্তে কলকাতা লিগে শীর্ষস্থানে রয়েছে জহর দাসের প্রশিক্ষণাধীন পিয়ারলেস। ইস্ট বেঙ্গল আছে তৃতীয় স্থানে। এরিয়ানের কাছে হেরে মোহন বাগান পাঁচ নম্বরে। স্মরণাতীত কালের মধ্যে কলকাতা লিগে ছোট দলগুলির এরকম চমকপ্রদ পারফরম্যান্স চোখে পড়েনি। অতীতে অধিকাংশ ম্যাচেই তিন প্রধানের থেকে এক পয়েন্ট কাড়াই ছিল ইস্টার্ন রেল, রেলওয়ে এফসি, পোর্ট ট্রাস্টদের মতো ক্লাবগুলির লক্ষ্য। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। দুই প্রধানকে হারানোর জন্যই মাঠে নামছে পিয়ারলেস, ভবানীপুর, জর্জ টেলিগ্রাফের মতো ক্লাবগুলি। তবে কি এবার কলকাতা লিগের এই দলগুলি ইপিএলের ‘লেস্টার সিটি’ হয়ে উঠবে? উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ মরশুমে দুই ম্যাঞ্চেস্টার, আর্সেনাল, চেলসির মতো তারকাখচিত দলকে পিছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লেস্টার সিটি। কলকাতা লিগে এরকম ঘটনা শেষবার ঘটেছে ১৯৫৮ সালে। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টার্ন রেল। ২০১৯’এ কি সেরকম কিছু হবে? ঘটনা, হল ১৯৫৮ সালে ইস্ট বেঙ্গলের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া পি কে ব্যানার্জির ইস্টার্ন রেল চ্যাম্পিয়ন হতে পারত না। তখন কলকাতা লিগে ছিল ১৫টি দল। ছিল ফিরতি লিগের প্রচলন। তাই মোট ম্যাচের সংখ্যা ছিল ২৮টি। ফিরতি লিগে ইস্ট বেঙ্গল-ইস্টার্ন রেলের ম্যাচটি প্রবল বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল। ইস্ট বেঙ্গল তখন এগিয়েছিল এক গোলে। সেদিন ইস্ট বেঙ্গল জিতলে হয়তো ইস্টার্ন রেল চ্যাম্পিয়ন হতে পারত না। এরপর ইস্টার্ন রেল ফিরতি পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল আরেক প্রধান মোহন বাগানের। প্রথম পর্বে মোহন বাগান-ইস্টার্ন রেল ম্যাচটি ড্র হয়। ফিরতি পর্বে দীনু রায়ের গোলে হার মেনেছিল মোহন বাগান। ওই ম্যাচের পর পিছন থেকে উঠে এসে লিগ শীর্ষে পৌঁছায় ইস্টার্ন রেল। আইএফএ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া ইস্ট বেঙ্গল-ইস্টার্ন রেল ম্যাচটির রিপ্লে দিয়েছিল। জ্যোতিষ গুহ অখেলোয়াড়োচিত মনোভাব দেখিয়ে রিপ্লে ম্যাচটিতে দল নামানোর অনুমতি দেননি। ইস্টার্ন রেল ওয়াকওভার পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
পুজোর আগে গোটা বাংলা জুড়েই হয় খেপ। লিগের মধ্যেই খেপ খেলেছেন ক্রোমা, আদজা! ওঁরা বললেন,‘কলকাতা লিগ তিন মাস, দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগের দল পেলে আর চার মাস বেতন পাব। কিন্তু বাকি পাঁচ মাস আমাদের চলবে কীভাবে? তাই আমরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও খেলতে বাধ্য হচ্ছি।’ বিদেশিদের এই খেপের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে এবার নতুন দল চ্যাম্পিয়ন হতেই পারে।