বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ হলেও মায়াঙ্ক আগরওয়াল কিন্তু জায়গা ধরে রাখতে সফল। সব কিছু ঠিক থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে (২-৬ অক্টোবর) মায়াঙ্কের সঙ্গে ওপেন করবেন রহিত শর্মা। সেই ইঙ্গিত মিলেছে নির্বাচক প্রধান প্রসাদের কথায়। তিনি বলেছেন, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে রহিত ওপেন করছে। বিপুল সাফল্যও পেয়েছে। আমার মনে হয় না, লাল বলের ক্রিকেটেও টপ অর্ডারে ব্যাট করতে ও কোনও সমস্যা হবে। আমার আশা, ওপেনার হিসাবে টেস্টেও সাফল্য পাবে রহিত।’
আসলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজি ভারত ২-০ ব্যবধানে জিতলেও রহিত কোনও ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি। অজিঙ্কা রাহানে ও হনুমা বিহারি ছন্দে আছেন। তাই রহিতের পক্ষে মিডল অর্ডারে জায়গা পাওয়া এখন অসম্ভব। সেই কারণেই তাঁকে ওপেনার হিসাবে ব্যাটিং অর্ডারে তুলে আনা হচ্ছে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রহিত কিন্তু ওপেনার হিসাবে দারুণ সফল। বিশ্বকাপেও তিনি দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। যদিও রহিতের টেস্ট কেরিয়ার ততটা উজ্জ্বল নয়। তাই নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্তে রহিত আরও একবার পাঁচদিনের ক্রিকেটে ভারতীয় দলে পায়ের তলার জমি শক্ত করার সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলা দলের অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণও দারুণ ছন্দে আছেন। ভারতীয় এ দলের হয়ে বেশ কয়েকটি নজরকাড়া ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তাই দল নির্বাচনী বৈঠকে তাঁর নামও চর্চায় উঠে এসেছিল। কিন্তু নির্বাচকরা শুভমান গিলের উপরই আস্থা দেখিয়েছেন। তবে অভিমন্যু এই ফর্ম ধরে রাখলে খুব বেশি দিন তাঁকে টেস্ট দলের বাইরে রাখা যাবে না বলেই মত নির্বাচক কমিটির এক সদস্যের। টেস্ট দলে জায়গা না পেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে বোর্ড সভাপতি একাদশের হয়ে খেলবেন অভিমন্যু। এই দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন রহিত শর্মা। নির্বাচক প্রধান প্রসাদ বলেছেন, ‘আমরা ওপেনারদের একটা পুল তৈরি করেছি। সেই তালিকা শুভমানের সঙ্গে অভিমন্যু, প্রিয়াঙ্ক রয়েছে। প্রত্যেকেই ভালো খেলছে। দলে জায়গা ফাঁকা হলে বাকিরাও সুযোগ পাবে।’
ঘরের মাঠে সিরিজ হওয়া সত্ত্বেও স্কোয়াডে দু’জন উইকেটকিপার রাখা হয়েছে। যা দেখে বোঝা যাচ্ছে, ঋষভ পন্থের পারফরম্যান্সে খুশি নন নির্বাচকরা। ঋদ্ধিমান সাহা প্রথম একাদশে জায়গা পেতে পারেন। বাদ পড়েছেন পেসার উমেশ যাদবও।