গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ করে সেই ম্যাচের কথা কেন মনে পড়ল কোহলির? কেনই বা তিনি ওই ম্যাচের ছবি পোস্ট করে ধোনির ফিটনেসের প্রশংসা করলেন? ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ধোনির সামনে নতজানু হয়ে বসে রয়েছেন কোহলি। যা দেখার পরেই মাহির অবসর জল্পনা স্ফুলিঙ্গের আকারে ছড়িয়ে পড়ে। টেস্ট দল ঘোষণার পর জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান এমএসকে প্রসাদের কাছেও সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, ধোনি কি সত্যিই অবসর নিচ্ছেন? এই ব্যাপারে কি তাঁর সঙ্গে মাহির কোনও কথা হয়েছে? নির্বাচক প্রধান সরাসরি ধোনির অবসরের প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমার কাছে এই ব্যাপারে কোনও খবর নেই। ধোনির সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। মনে হয়, এটা নিছকই রটনা। আশা করি, যাঁরা এটা করছেন, তারা ভুল প্রমাণিত হবেন।’ পরে বিসিসিআইয়ের এক কর্তাও দাবি করেন, ‘ধোনির অবসর নিয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।’ বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে। ধোনির অবসর নিয়ে জল্পনা থামা তো দূর অস্ত্, আরও তীব্র হয়েছে। এক সময় শোনা গিয়েছিল, বিকেল চারটেয় সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছেন মাহি। যদিও ঘড়ির কাঁটা চারটে পেরিয়ে গেলেও তেমন কিছু ঘটেনি। পরে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়, ধোনি সন্ধ্যা সাতটায় সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। যদিও সাতটা বাজার আগেই ধোনির স্ত্রী সাক্ষী ট্যুইটারে জানিয়ে দেনে, ‘সবই গুজব।’ আসলে বিশ্বকাপের পরেই ধোনির অবসর নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মাহি কিংবা বিসিসিআই—কোনও পক্ষই এই ব্যাপারে কিছু জানায়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতীয় দলে জায়গা পাননি ধোনি। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজেও ব্রাত্য প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই মনে করছেন, টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেই হয়তো অবসর নেবেন মাহি। তাতে একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে। কিন্তু এভাবে একের পর এক সিরিজ না খেলে ধোনি কি পুরানো ফর্ম বজায় রাখতে পারবেন?