বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লিথুয়ানিয়ার মাঠে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে পর্তুগালের দুরন্ত জয়ের নায়ক হয়ে উঠেছেন রোনাল্ডো। জাতীয় দলের জার্সিতে আবারও ঝলক দেখালেন তিনি। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে বক্সের মধ্যে লিথুয়ানিয়ার ডিফেন্ডার পালিওনিসের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন সিআর সেভেন (১-০)। তবে ২৮ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে লিথুয়ানিয়াকে সমতায় ফেরান ভিতোতাস (১-১)। প্রথমার্ধের শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েও গোল পায়নি পর্তুগাল। আর সেই আক্ষেপ মেটাতেই বিরতির পর রীতিমতো জ্বলে ওঠেন রোনাল্ডো। ৬১ মিনিটে তাঁর বিদ্যুৎ গতির শট ঝাঁপিয়ে পড়ে আঙুলে ছোঁয়ালেও গোল আটকাতে পারেননি লিথুয়ানিয়ার গোলরক্ষক (২-১)। চার মিনিট বাদেই বার্নার্ডোর ক্রসে গোলমুখ থেকে পা ছুঁইয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন রোনাল্ডো (৩-১)। জাতীয় দলের হয়ে এটি তাঁর অষ্টম হ্যাটট্রিক। সেই সঙ্গে গড়লেন ইউরোর বাছাই ও মূল পর্ব মিলিয়ে ৩৪টি গোলের রেকর্ডও। তার পরেও খিদে মেটেনি জুভেন্তাস তারকার। ৭৬ মিনিটে ডান দিক থেকে বাড়ানো বার্নার্ডোর পাস থেকে কোনাকুনি শটে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন রোনাল্ডো (৪-১)। জাতীয় দলের জার্সিতে ৯৩টি গোল করে ফেললেন তিনি। এর পরই রোনাল্ডোকে তুলে গেদেসকে নামান কোচ ফার্নান্ডো স্যান্টোস। তবু গোলের ধারায় ভাটা পড়েনি পর্তুগালের। সংযোজিত সময়ে স্কোর লাইন ৫-১ করেন কারভালহো। এই জয়ের সুবাদে ‘বি’ গ্রুপে চার ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বর্তমান ইউরোপ সেরা পর্তুগাল। আর পাঁচ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইউক্রেন।(মঙ্গলবার রাতের আরেকটি ম্যাচে ইংল্যান্ড ৫-৩ গোলে জিতেছে কসোভোর বিরুদ্ধে। আট গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে নিজেদের ভুলে প্রথম মিনিটেই গোল খেয়ে বসে ইংল্যান্ড। ইংরেজ ডিফেন্ডার মাইকেল কিনের ভুল পাস ধরে জোরাল শটে কসোভোকে এগিয়ে দেন ভালোন বেরিসা। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি ইংল্যান্ড। অষ্টম মিনিটে রাহিম স্টার্লিং হেডে সমতা ফেরান (১-১)। ১০ মিনিট পর ইংল্যান্ডকে হ্যারি কেন (২-১)। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আট মিনিটের মধ্যে আরও তিনটি গোল পেয়ে যায় গ্যারেথ সাউদগেটের দল। ৩৮ মিনিটে কসোভোর ডিফেন্ডার ভয়ভোদার আত্মঘাতী গোলে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৪৪ মিনিটে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম গোলটি করেন জ্যাডন স্যাঞ্চো। দু’মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলটিও পেয়ে যান ১৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। বিরতির আগে ৫-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লেও হাল ছাড়েনি কসোভো। ৪৯ ও ৫৫ মিনিটে তাদের হয়ে দুটি গোল শোধ করেন ভালোন বেরিসা ও ভেদাত মুরিকি।
দিনের অপর ম্যাচে ফ্রান্স ৩-০ গোলে হারিয়েছে অ্যান্ডোরাকে। ‘এইচ’ গ্রুপে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতল ফরাসিরা। ম্যাচের অষ্টাদশ মিনিটে ইকোনের পাস থেকে দলকে এগিয়ে দেন কোমান (১-০)। ২৮ মিনিটে পেনাল্টি মিস করেন গ্রিজম্যান। তবে ৫২ মিনিটে তাঁর পাস থেকেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্লেমেন্ত লেংলেট (২-০)। আর সংযোজিত সময়ে দলের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন উইসাম বেন ইয়েদের। এখনও মোট ছয় ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফ্রান্স।