রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
আপাতত ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট লোকেশ রাহুলের বিকল্প হিসাবে ভাবতেই পারেন রহিত শর্মাকে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রহিত দারুণ সফল। কিন্তু টেস্টে আজও তিনি পায়ের তলার জমি শক্ত করতে পারেননি। বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর অনেকেই ভেবেছিলেন পাঁচদিনের ক্রিকেটে আরও বেশি করে মনঃসংযোগ করবেন রহিত। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ভারতীয় দলে থাকলেও কোনও ম্যাচে তাঁকে খেলানো হয়নি। তার একটা বড় কারণ, অজিঙ্কা রাহানের দুরন্ত কামব্যাক। পাশাপাশি তরুণ ও প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান হনুমা বিহারি প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছেন। সেঞ্চুরি সহ একাধিক নজরকাড়া ইনিংস খেলেছেন তিনি। যার ফলে মিডল অর্ডারের সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে ‘টিম ইন্ডিয়া’। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে মিডল অর্ডারে রহিতের জায়গা পাওয়া কঠিন। সেক্ষেত্রে ওপেনার হিসাবে তাঁকে তুলে আনা ছাড়া আর কোনও উপায়ও নেই নির্বাচকদের সামনে। তবে নির্বাচকদের অনেকেই চাইছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে যাঁরা ভালো খেলছে তাঁদের তুলে আনতে। সেই তালিকায় আছেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ, গুজরাতের প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল ও পাঞ্জাবের শুভমান গিল। ভারতীয় এ দলের হয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছেন অভিমন্যু। তাঁকে ব্যাক-আপ ওপেনার হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ভারতীয় দলে রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, কোচ রবি শাস্ত্রী দ্বিতীয়বার ভারতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছেন। তিনি বলেছেন, ওয়েস্ট ইন্টিডজ এবং অস্ট্রেলিয়ার স্বর্ণযুগের দলের সাফল্য স্পর্শ করতে চান কোহলিদের নিয়ে। আর তার জন্য ক্রিকেটারদের ফিটনেস লেভেল আরও বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছেন তিনি। এখন ইয়ো-ইয়ো টেস্টে ব্যর্থ হলে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া যায় না। এই পদ্ধতি চালু হওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস অনেক উন্নত হয়েছে। এতদিন ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য ইয়ো-ইয়ো টেস্টের পাস মার্ক ছিল ১৬.১। তা বাড়িয়ে ১৭ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন শাস্ত্রী।