রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সাংবাদিক সম্মেলনে এসে স্টিম্যাচের মন্তব্য, ‘কোচ হিসেবে কাতার ম্যাচ নিয়ে খুব বেশি ভাবতে রাজি নই। ওমানের কাছে প্রথম ম্যাচে হারার পরেও একই কথা বলেছিলাম। তবে এটা সত্যি যে, এক পয়েন্ট পেয়ে আমি খুশি বললেও কম বলা হবে। কাতারে এসে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের রুখে দেওয়া সহজ নয়। তবে বেশ কিছু জায়গায় উন্নতির পর্যাপ্ত অবকাশ রয়েছে আমাদের। আগামী ম্যাচের আগে সেদিকে নজর দিতে হবে। মঙ্গলবার এই লড়াকু পারফরম্যান্সের জন্য শুধু ভারতীয় ফুটবলারদের নয়, কাতারের খেলোয়াড়দেরও ধন্যবাদ জানাতে হবে।’
দোহায় পৌঁছে জ্বর হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সুনীল ছেত্রীর সার্ভিস পায়নি ভারত। তা সত্ত্বেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি অনিরুদ্ধ থাপা-আদিল খানরা। ফুটবলারদের এই হার না মানা মনোভাবের প্রশংসা শোনা গিয়েছে স্টিম্যাচের কণ্ঠে। কাতারের কি এই ম্যাচে জেতা উচিত ছিল? প্রশ্নের উত্তরে ভারতীয় কোচের মন্তব্য, ‘ফল ওদের পক্ষে হয়নি। কিন্তু ম্যাচের রাশ তো ছিল কাতারের কাছেই। আমরাও আক্রমণ শানিয়েছি তবে তা প্রতিপক্ষের তুলনায় কম। শেষ কুড়ি গজে ভারতের লড়াই থামিয়ে দিয়েছে কাতারের জারিজুরি।’
ওমানের কাছে শেষ দশ মিনিটে দু’গোল হজম করে হারতে হয়েছিল ভারতকে। অনেকেই বলেছিলেন, ফিটনেস সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন সুনীল-আশিক কুরিয়ানরা। এদিন সেই প্রশ্ন আবার করা হলে বেশ বিরক্তের সঙ্গে স্টিম্যাচের জবাব, ‘এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কোনও কারণ দেখছি না। ফুটবল বিষয়ে অধিকাংশ লোকেরই জ্ঞান সীমিত। তাই উল্টোপাল্টা প্রশ্ন করেন। ফিটনেস আমাদের তুঙ্গে।’
আগামী ১৫ অক্টোবর কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে গ্রুপ-ই’র পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। ওইদিন গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্টিম্যাচ। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ‘কাতারের বিরুদ্ধে এরকম উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্সের পর নিশ্চয়ই ভারতীয় ফুটবল অনুরাগীদের সমর্থন পাব। কলকাতা শুনেছি ফুটবলপাগলদের জায়গা। তাঁদের সামনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে অন্যরকম অনুভূতি হবে।’