ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দলে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তারা ভারত সফরকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনটি টি-২০ ছাড়াও তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে প্রোটিয়া বাহিনী। আর ভারতের মাটিতে স্পিনের বিরুদ্ধে লড়ে সাফল্য পেতে হবে। সেক্ষেত্রে মুম্বই রনজি দলের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান অমল মুজুমদারের পরামর্শ কাজে লাগাতে চাইছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৪ বছরের অমলের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১১১৬৭ রান রয়েছে। তাঁর ব্যাটিং গড় ৪৮.১৩। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে অমল জানিয়েছেন, ‘গত সপ্তাহে আমাকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আমি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। আমার কাছে এটা দারুণ একটা সুযোগ। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো একটা বড় দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে ভালো লাগছে। আমার কাছে অনেক বড় সম্মান।’
তবে অমল মুজুমদার ভালোই জানেন, ঘরের মাটিতে বিরাট কোহলিদের হারানো কতটা কঠিন। টি-২০ সিরিজের থেকেও টেস্ট সিরিজ হবে তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। গতবার ভারত সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা টি-২০ এবং ওয়ান ডে সিরিজ জিতলেও, টেস্ট সিরিজে হতাশ করেছিল। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই প্রোটিয়া বাহিনী এবার প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের শরণাপন্ন হয়েছে। অমল জানিয়েছেন, ‘দেশের মাটিতে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে খেলা কতটা কঠিন সেটা আমি জানি। গতবার দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের বড় সমস্যা হয়েছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার স্পিন খেলতে। আমার তাই প্রথম কাজ হবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের মন থেকে ভারতীয় স্পিনারদের সম্পর্কে যে ভীতি রয়েছে সেটা কাটিয়ে তোলা।’
বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলে একাধিক পরিবর্তনও আনা হয়েছে। ভারত সফরে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে জেনেও পেসার কাগিসো রাবাদা বলেছেন, ‘নতুন লক্ষ্যে আমরা পথ চলা শুরু করেছি। অনেক বাধা বিঘ্ন আসবে। তা মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। আমার বিশ্বাস, চার-পাঁচ বছরে আমরা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসাবে আন্তর্জাতিক আঙিনায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। ভারত সফরকে সেই কারণেই আমরা বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছি। বিগত কয়েক বছর ধরেই টিম ইন্ডিয়া সেরা দলের তকমা ধরে রেখেছে। সেই তুলনায় আমাদের দল অনভিজ্ঞ। কারণ, অনেক বেশি নতুন মুখ রয়েছে এই দক্ষিণ আফ্রিকা দলে। এমন অনেকে আছে, যারা অতীতে ভারতের বিরুদ্ধে খেলেনি। তবে স্কুল পর্যায় থেকে তারা এক সঙ্গে খেলে এই জায়গায় পৌঁছেছে। তাই বোঝাপড়া বেশ ভালো। একটু সময় পেলে তরুণ প্রজেন্মের হাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দলের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’