পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সোমবার ম্যাচ শেষে সাইডলাইনের ধারে রেফারি দীপু রায়কে নিগ্রহ করেন ইস্ট বেঙ্গলের জনাকয়েক ফুটবলার ও ম্যানেজার। ম্যাচ শেষের বাঁজি বাজার পরই রেফারির দিকে তেড়ে যান ইস্ট বেঙ্গলের দুই বিদেশি বোরহা গোমেজ ও কোলাডো। এতে গ্যালারি ভীষণভাবে প্ররোচিত হয়। সাইড লাইনের ধারে রেফারিকে থাপ্পড়, ধাক্কা মারতে কুণ্ঠা বোধ করেননি কোয়েস ইস্ট বেঙ্গল টিমের ম্যানেজার দেবরাজ চৌধুরী। এতে কিছুটা বিব্রত হয়ে তৎক্ষণাৎ তাঁকে বকাঝকা করেন ইস্ট বেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। মাঠের ধারে থাকা চতুর্থ রেফারি, ম্যাচ কমিশনারের টেবিল ভেঙে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিস প্রহরায় রেফারিরা ইস্ট বেঙ্গল তাঁবুতে প্রবেশ করেন। ম্যাচ শেষের পর প্রায় ৭০ মিনিট তাঁরা রেফারিজ রুমে বসেছিলেন। লালবাজারের স্পেশাল ফোর্স এসে এই রেফারিদের উদ্ধার করে ময়দানের রেফারি তাঁবুতে পৌঁছে দেয়।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে উত্তেজনার পারদ ধিকি ধিকি করে চড়তে শুরু করে। ইস্ট বেঙ্গলের ইডেন প্রান্তের গ্যালারি থেকে গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়। গোলপোস্টের পিছন দিকে বসা ইস্ট বেঙ্গল সমর্থকরা প্রথমদিকে ফুটবলারদের উৎসাহিত করছিলেন। এরপর পিয়ারলেস স্টপার কার্লনের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় সমর্থকদের। খেলার শেষলগ্নে চতুর্থ রেফারি অতিরিক্ত পাঁচ মিনিট অ্যাডেড টাইম দেখান। তারপরেও রেফারি এক মিনিট বেশি খেলিয়েছেন সময় নষ্টের জন্য। কারণ এই অতিরিক্ত পাঁচ মিনিটের মধ্যে পিয়ারলেসের গোলরক্ষক অরূপ দেবনাথ অন্তত তিনবার ইচ্ছাকৃত সময় নষ্টের লক্ষ্যে মাটিতে শুয়ে পড়েন। এতে গ্যালারি আরও বেশি প্ররোচিত হয়। ম্যাচ শেষে গ্যালারি থেকে জলের বোতল, ইট ও কাঠের টুকরো উড়ে আসে। পিয়ারলেস ফুটবলাররা ততক্ষণে তাঁবুর ভিতরে ঢুকে গিয়েছেন। এরপর পুলিস গ্যালারির ফেন্সিং টপকে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে। সিভিল ড্রেসে থাকা কয়েকজন পুলিস হেলমেট দিয়ে দর্শকদের আঘাত করেন। এর মধ্যে কয়েকজন মহিলা সমর্থকও ছিলেন। কিন্তু পর্যাপ্ত মহিলা পুলিস ছিলেন না। সমর্থকরা পাল্টা পাথর ছোঁড়ে। এক পুলিসকর্মীর চোখের পাশে আঘাত লাগে। তিন-চার জন মহিলা সমর্থকও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। গুরুতর জখম হন পাঁচজন লাল-হলুদ সমর্থক। এঁদের বাড়ি বিরাটি, দমদম, টালিগঞ্জ এলাকায়। সৌম্যদীপ বসাক, রজত সাহা ও শৌভিক ধর নামে তিন সমর্থককে পুলিস বেধড়ক মেরেছে। পুলিস দর্শকদের কিছু অংশকে গ্যালারি থেকে সরিয়ে দেয়। পাল্টা আবার কয়েকজন সমর্থক গেট ভেঙে গ্যালারিতে প্রবেশ করেন। মাঠের বাইরে এই গণ্ডগোলের তীব্রতা লেসলি ক্লডিয়াস সরণী থেকে ময়দানের বিখ্যাত বটতলা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। ঘোড়সওয়ার পুলিসও সমর্থকদের তাড়া করে।- নিজস্ব চিত্র