ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
(রাবিয়া-২) (সুনীল)
গুয়াহাটি, ৫ সেপ্টেম্বর: দুরন্ত শুরু করেও শেষরক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে ওমানের কাছে ২-১ গোলে হার মানল ভারত। প্রথমার্ধে সুনীল ছেত্রীর লক্ষ্যভেদ লিড এনে দিলেও শেষ দশ মিনিটে রক্ষণের ব্যর্থতায় দু’টি গোল হজম করতে হল ইগর স্টিম্যাচের দলকে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর গ্রুপ-ই’র দ্বিতীয় ম্যাচে দোহায় কাতারের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত।
কোচ ইগর স্টিম্যাচ এদিন দল সাজিয়েছিলেন ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে। গোলে গুরপ্রীত সিং সান্ধু। রক্ষণ সামলানোর প্রধান দায়িত্ব ছিল রাহুল ভেকে, সন্দেশ ঝিংগান, আদিল খান ও শুভাশিস বসুর উপর। ডিফেন্সিভ স্ক্রিন হিসেবে অনিরুদ্ধ থাপা ও রোলিন বর্জেস। সিঙ্গল স্ট্রাইকারে সুনীল ছেত্রীর পিছনে ভারতের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ব্যবহার করেন উদান্তা সিং, ব্র্যান্ডন ও আশিক কুরুনিয়ানকে। ঘরের মাঠে শুরু থেকেই ইতিবাচক ফুটবল উপহার দেয় স্টিম্যাচ-ব্রিগেড। দুই উইং দিয়ে উদান্তা এবং আশিক কুরিয়ানের গতি বারবার বিপদে ফেলেছে ওমানকে। ১৫ মিনিটে সুনীলের বাড়ানো বুদ্ধিদীপ্ত পাস খুঁজে নেয় ডানদিকে থাকা উদান্তা সিংকে। আউটসাইড ডজে মার্কারকে বোকা বানিয়ে নেওয়া তাঁর শট ক্রসপিসে প্রতিহত হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের জন্য এরপর দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ভারতকে। পরিকল্পিত ফ্রি-কিক থেকেই লিড নেয় স্টিম্যাচের দল। ২৪ মিনিটে বাঁ দিকে ফ্রি-কিক পায় ভারত। ব্র্যান্ডন তা নিতে যান। শেষ মুহূর্তে জটলার মধ্যে থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসেন সুনীল। সহ-ফুটবলারের বাড়ানো পাস না ধরেই বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে জাল কাঁপিয়ে দেন ভারতীয় অধিনায়ক (১-০)। আন্তর্জাতিক আঙিনায় এটি সুনীল ছেত্রীর ৭২তম গোল।
বিরতির আগে ওমান গোলশোধ করতে পারেনি ভারতীয় গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধুর দৃঢ়তায়। ডানদিক থেকে ওমানের সাদ সুহেলের ক্রস এসে পড়ে বিপক্ষ বক্সে। সন্দেশ-আদিলদের টপকে তাতে হেড নেন আমেদ কানো। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে নেওয়া তাঁর সেই প্রয়াস অনবদ্যভাবে বাঁচান গুরপ্রীত।
বিরতির পর ওমান আক্রমণের তীব্রতা বাড়ায়। ৬০ মিনিটে ইগর স্টিম্যাচ মাঝমাঠ সংগঠন জোরালো করার লক্ষ্যে ব্র্যান্ডনের পরিবর্তে চাংতেকে ব্যবহার করেন। ম্যাচ যতই শেষের দিকে এগিয়েছে ততই বেড়েছে ওমানের চাপ। এই পর্বে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে প্রতিপক্ষকে সুবিধা করে দেয় ভারত। কোচ স্টিম্যাচের স্ট্র্যাটেজি ছিল, প্রতি-আক্রমণে ব্যবধান বাড়ানো। কিন্তু তাঁর সেই লক্ষ্য সফল হয়নি। মাঝমাঠে লোক বাড়িয়ে ম্যাচের দখল নেয় ওমান। ৭৪ মিনিটে গাফরির শট কোনওক্রমে বাঁচান গুরপ্রীত। ফিরতি বল দ্রুততার সঙ্গে ক্লিয়ার করতে ভুল হয়নি সামনে দাঁড়ানো রাহুল ভেকের। ৮২ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরায় ভারত। পিছন থেকে আসা বলের দখল নিয়ে নিখুঁত লবে গুরপ্রীত সিং সান্ধুকে হার মানান রাবিয়া আলওয়াই (১-১)।
ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে তাঁর দুরন্ত গোলই জয় এনে দেয় ওমানকে। বাঁ দিকের টাচলাইনের কাছে বল পেয়ে সন্দেশ ঝিংগানকে কাটিয়ে ডান পায়ের গোলার মতো শটে জাল কাঁপান রাবিয়া (২-১)।