কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
(ম্যাটিপ, মো সালাহ-২) (টোরেইরা)
লন্ডন, ২৫ আগস্ট: অ্যানফিল্ডে হারের স্বাদ পাওয়া অভ্যাসে পরিণত করেছে আর্সেনাল। শনিবারও তার অন্যথা হল না। এই মাঠে গত দু’টি ম্যাচে ০-৪ ও ১-৫ গোলে হার মেনেছিল গানার্সরা। আর এবার লিভারপুল তাদের বশ মানাল ৩-১ ব্যবধানে। জোড়া গোল মিশরীয় তারকা মহম্মদ সালাহর। অপর গোলদাতা ম্যাটিপ। আর্সেনালের হয়ে সান্ত্বনাসূতক লক্ষ্যভেদটি টোরেইরার। প্রথম তিনটি ম্যাচের প্রত্যেকটিতে জিতে এই মুহূর্তে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থানে লিভারপুল। ম্যাচের পর কোচ জুরগেন ক্লপ বলেন, ‘যে গতিশীল ফুটবল খেলে ছেলেরা আর্সেনালের মতো দলের বিরুদ্ধে সহজ জয় তুলে নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। শেষ দশ মিনিট ছাড়া গোটা ম্যাচে আমাদের প্রাধান্য ছিল সংশয়াতীত।’
যোগ্য দল হিসেবেই লিভারপুল জিতেছে বলে খেলা শেষে মন্তব্য করেন আর্সেনালের হেডস্যার উনেই এমেরি। তাঁর মন্তব্য, ‘লিভারপুলের সঙ্গে আমাদের ব্যবধান ক্রমশ কমছে। গতবারের দু’টি ম্যাচের ফল দেখলে তা নিশ্চয়ই আপনার বুঝতে পারবেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে।’ দলগত সংহতি এবং ব্যক্তিগত মুন্সিয়ানার ক্ষেত্রে লিভারপুলের সঙ্গে কোনও তুলনাই চলে না আর্সেনালের। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ম্যাচের শুরু থেকেই চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় ক্লপ-ব্রিগেড। সাদিও মানে, রবার্তো ফারমিনো এবং মো সালাহ’র মসৃণ বোঝাপড়া রোখার সামর্থ ছিল না দাভিদ লুইজ-নাচো মনরিয়ালদের। প্রারম্ভিক পর্বে সাদিও মানে ও রবার্তো ফারমিনো লক্ষ্যভেদে স্থির থাকতে পারলে গোলের জন্য ৪১ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত না লিভারপুলকে। বিরতির আগে আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের তোলা কর্নার থেকে নেওয়া ম্যাটিপের হেড হার মানায় আর্সেনাল গোলরক্ষক লেনোকে (১-০)। বিরতির পরে লিভারপুলের আক্রমণের তীব্রতা আরও বাড়ে। প্রতি-আক্রমণে বেশ কয়েকবার উঠলেও অবামেয়াং-ড্যানি সেবায়সরা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। ৪৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে মো সালাহ’র জার্সি পিছন থেকে টেনে ধরেন দাভিদ লুইজ। রেফারি সঙ্গত কারণেই পেনাল্টির নির্দেশ দেন। স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি সালাহ’র (২-০)। তবে ৫৮ মিনিটে মিশরীয় উইঙ্গারটির দ্বিতীয় গোলটি নিঃসন্দেহে ম্যাচের সেরা। ফাবিনহোর পাস ধেরে তাঁর দুরন্ত দৌড়ের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আর্সেনাল রক্ষণ। বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি প্লেসিংয়ে জাল কাঁপান তিনি (৩-০)। ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে সান্ত্বনাসূচক গোলটি পায় আর্সেনাল। অবামেয়াংয়ের পাস ধরে টোরেইরার শট ব্লক করেন হেন্ডারসন। ফিরতি প্রয়াসে অবশ্য ভুল হয়নি উরুগুয়ান মিডিওটির (৩-১)।