কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
একইদিনে পুরুষ সিঙ্গলসের সেমি-ফাইনালে ভারতের বি সাই প্রণীত গতবারের চ্যাম্পিয়ন কেন্টো মোমোতার কাছে হেরে ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করলেন। প্রণীতের অ্যাটাকিং গেম ফর্মে থাকা মোমোতার সামনে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি। বিশ্বের একনম্বর জাপানের প্লেয়ারের কাছে প্রণীত ৪১ মিনিটে হারলেন ১৩-২১, ৮-২১ পয়েন্টে। ৩৬ বছর পর বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে কোনও ভারতীয় প্লেয়ার পদক জিতলেন। ১৯৮৩ সালে প্রকাশ পাড়ুকোন প্রথম ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।
গত দুটি চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতেছেন সিন্ধু। এছাড়া তাঁর ঝুলিতে রয়েছে দুটি ব্রোঞ্জ। বিশ্বের তিন নম্বর চীনের চেনকে ৪০ মিনিটের লড়াইয়ে হারালেন সিন্ধু। খেলার ফল ২১-৭, ২১-১৪। রবিবার ফাইনালে ২৪ বছর বয়সী হায়দরাবাদের এই প্লেয়ার মুখোমুখি হবেন ২০১৩ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তাইল্যান্ডের র্যাটচানক ইন্তানন বা জাপানের নোজোমি ওকুহারার বিরুদ্ধে। এদিন ফাইনালে ওঠার পর সিন্ধু বলেন, ‘আমি খুশি, কিন্তু নিজের খেলায় সন্তুষ্ট নই। ফাইনালে সোনা জেতার জন্য নিজের সেরাটা দিতে আমি প্রস্তুত।’
ওলিম্পিকসে রুপো জয়ী সিন্ধু চীনের খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ৫-৩ ফলে এগিয়ে রয়েছেন। শনিবার সেমি-ফাইনালে সিন্ধু জমাট গেম খেলে হার মানান প্রতিপক্ষকে। চেনের বিরুদ্ধে কোণাকুণি রিটার্ন শটে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ছিনিয়ে নেন সিন্ধু। তিনি র্যালিতে প্রতিপক্ষকে পিছু হটতে বাধ্য করেন। প্রথম গেমে ১১-৩ পয়েন্টে এগিয়ে যান সিন্ধু। চেন বারবার বলের লাইন মিস করেন। তারপর তাঁর দুর্বল রিটার্ন সিন্ধুকে বেশ কিছু পয়েন্ট এনে দেয়।
দ্বিতীয় গেমে ভালো শুরু করেন চেন উই ফেই। একটা সময় ৩-৩ ফল ছিল। তারপর সিন্ধু ১০-৬ পয়েন্টে এগিয়ে যান। চীনের খেলোয়াড়ের ব্যাকহ্যান্ডের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে সিন্ধু ১১-৭ পয়েন্টে এগিয়ে যান। তারপরেও চেনকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দেননি সিন্ধু। চেনের একাধিক আনফোর্সড এরর সিন্ধুকে আবার ১১-৭ পয়েন্টে এগিয়ে দেন। সেখান থেকে ১৭-৯ পয়েন্টে এগিয়ে যান গোপীচাঁদের এই ছাত্রী। ক্রস কোর্ট স্ম্যাসে আটটি পয়েন্ট সংগ্রহ করেন ভারতীয় খেলোয়াড়।