নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এই বছরের দলবদলে উপেক্ষিত ফুটবলাররা কিন্তু ডুরান্ড সেমি-ফাইনালের নায়ক। গোকুলামের গোলরক্ষক উবেইদকে এবার রাখেনি ইস্ট বেঙ্গল। তাঁর হাতযশেই ডুরান্ড সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে শতবর্ষের ইস্ট বেঙ্গল। আবার রিয়াল কাশ্মীরকে হারিয়ে মোহন বাগানকে ফাইনালে তুলে ভি পি সুহের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালের নায়ক। তাঁকেও রাখেননি ইস্ট বেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো। সেমি-ফাইনালের মতোই কি ফাইনালে নায়ক হয়ে উঠবেন মোহন বাগানের উপেক্ষিত হেনরি কিসেকা? মার্কোস জোশেফকে সামলাতে মোরান্তে ব্যস্ত থাকার সময়ে হেনরি সবুজ মেরুনের অন্য ডিফেন্ডার আশুতোষ মেহতা, গুরজিন্দার, কিমকিমাদের টপকে গোল কররেন না তো? হেনরিকে এই নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি হাসছেন। হেনরি বললেন, ‘শনিবারের ম্যাচে আমার প্রমাণ করার কিছু নেই। সকলেই জানেন আমি কোন মানের ফুটবলার! তবে কলকাতায় সফল হতে না পারার জন্য আমার মনে ব্যথা আছে। আই লিগের দ্বিতীয় ডার্বির কিছু তিক্ত স্মৃতি ডুরান্ড ফাইনালের আগে অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন। এইসব অজান্তে আমাকে মোটিভেট করছে। মোহন বাগান রক্ষণে দুর্বলতা আছে কিনা তা আমি জানি না। তবে ওদের রক্ষণ নিয়ে কাটাছেঁড়া তো চলছে আমাদের শিবিরে। তবে আবার বলছি ,এটা আমার কাছে নিছকই একটি ম্যাচ। কোনওভাবেই এটি প্রতিশোধের ম্যাচ নয়।’
গোকুলামের জোড়া ফলা হেনরি-মার্কোস জোশেফকে রুখতে বড় সহায় মোরান্তে। তিনি অবশ্য বেইতিয়ার মতো গুছিয়ে ইংরাজি বলতে পারেন না। তবে মোরান্তে বললেন, ‘ওদের দুই স্ট্রাইকারকে নিয়ে হোমওয়ার্ক করা হয়েছে।’ সন্ধ্যা আটটা থেকে প্রায় ৪০ মিনিট মোহন বাগান হোটেলে টিম মিটিং হয়। সেখানে গোকুলামের দুই স্ট্রাইকারকে নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। তরুণ ডিফেন্সিভ ব্লকার সাহিলকে দুই স্টপারের কাছাকাছি থাকতে বলেছেন। এই ম্যাচে রেফারি একটা ফ্যাক্টর। ফিফা প্যানেলে থাকা কোনও রেফারিই দায়িত্বে থাকবেন।