পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ঘরের মাঠে স্পারের বিরুদ্ধে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন পেপ। ওয়েস্ট হ্যামের বিরুদ্ধে নামনো প্রথম একাদশে এদিন চারটি পরিবর্তন করেছিলেন তিনি। পক্ষান্তরে, হ্যারি কেনকে সিঙ্গল স্ট্রাইকারের ভূমিকায় রেখে ৪-৩-২-১ ছকেই ভরসা ছিল টটেনহ্যামের আর্জেন্তাইন কোচ পোচেত্তিনোর। ম্যাচের প্রথমার্ধে সংশয়াতীত প্রাধান্য ছিল সিটির। পাসিং ফুটবল মেলে ধরে কেভিন ডি ব্রুইন-বার্নাডো সিলভারা একের পর এক আক্রমণ তৈরি করেন। গত মরশুমে চোটের কারণে দলকে তেমন সার্ভিস দিতে পারেননি ডি ব্রুইন। এবার সেই আপশোস মেটানোর জন্য তিনি বদ্ধপরিকর। টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে দু’টি গোলের পাসই তাঁর পা থেকে এসেছে। ২০ মিনিটে বেলজিয়ান মিডিওটির ঠিকানা লেখা সেন্টার দ্বিতীয় পোস্টের কাছে খুঁজে নেয় রহিম স্টার্লিংকে। তাঁর হেড রুখতে পারেননি স্পার গোলরক্ষক হুগো লরিস (১-০)। তবে এই গোল হজমের পর দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায় টটেনহ্যাম। তিন মিনিটের মধ্যেই বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া মাপা শটে জাল কাঁপান এরিক লামেলা (১-১)। তাঁকে বল বাড়িয়েছিলেন এনডোম্বেলে। এরপর অবশ্য আবার ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে ম্যান সিটি। ৩৫ মিনিটে বার্নাডো সিলভা ও কেভিন ডি ব্রুইনের বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবলে ভেঙে পড়ে বিপক্ষ রক্ষণ। ডানদিক থেকে বাড়ানো ডি ব্রুইনের মাপা মাইনাস পেলব স্পর্শে গোলে পাঠান আর্জেন্তাইন তারকা সের্গিও আগুয়েরো (২-১)।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ম্যান সিটি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। এই পর্বে টটেনহ্যাম গোলরক্ষক হুগো লরিস একাধিকবার দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন। এরমধ্যে সেরা ৪৯ মিনিটে জিনচেঙ্কোর নেওয়া শট রোখার মুহূর্তটি। ৫৬ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে লুকাস মউরা নামার পর টটেনহ্যামের পারফরম্যান্সে উন্নতি দেখা গিয়েছে। মাঠে নামার ১৯ সেকেন্ডের মধ্যেই এরিক লামেলার কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে দলকে সমতায় ফেরান মউরা (২-২)। তাঁর মার্কার কাইল ওয়াকার বল বিপন্মুক্ত করার সুযোগই পাননি। এরপর তৃতীয় গোলের জন্য সের্গিও আগুয়েরোকে তুলে ব্রাজিলিয়ান গ্যাব্রিয়াল হেসাসকে ব্যবহার করেন সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা।