বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ডুরান্ডে ইস্ট বেঙ্গলের ২২ জনের রেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে। তাই ইস্ট বেঙ্গল কোনওভাবে ডুরান্ড ফাইনালে গেলে তাঁকে খেলানোর কোনও সম্ভাবনাই নেই। এবার ইস্ট বেঙ্গলের উইং প্লে দারুণ হচ্ছে। উইং থেকে বল ভেসে আসছে। তবে তা কাজে লাগানোর লোক নেই। বিদ্যাসাগর সিং অবশ্য ডুরান্ডের তিনটি ম্যাচে পাঁচটি গোল করেছেন। যদিও বেঙ্গালুরু এফসি, জামশেদপুর এফসি বা আর্মি রেড দলে কোনও বিদেশি ডিফেন্ডার ছিল না। জর্জ টেলিগ্রাফের বিদেশি স্টপার থাকায় ছোটখাটো চেহারার বিদ্যাসাগর সিং আটকে গিয়েছেন। তাই কলকাতা লিগে বিদেশি স্ট্রাইকার সত্যিই প্রয়োজন লাল হলুদের। কিন্তু ইস্ট বেঙ্গল কি মার্কোসকে খেলাতে পারবে কলকাতা লিগে? আই লিগের দল হিসাবে কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচের পর আরও ১৫ জনকে রেজিস্ট্রি করার সুযোগ পাবে ইস্ট বেঙ্গল। আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র এসে গেলে মার্কোসের নাম নথিভুক্ত করতে কোনও সমস্যা নেই। কারণ আই লিগের দল ছ’জন বিদেশি সই করাতে পারে। মার্কোস লাল হলুদের পঞ্চম বিদেশি। কিন্তু তিনি কলকাতা লিগে মাঠে নামতে পারবেন কি? আইএফএ’র পোড়খাওয়া শীর্ষ কর্তারা বলছেন,‘মার্কোসকে লিগে খেলাতে হলে বর্তমানে রেজিস্ট্রি করানো (বোরহা, মার্তি ক্রেসপি, কাশিম আইদারা, কোলাডো) চার বিদেশির মধ্যে একজনকে ছেড়ে দিতে হবে। নয়তো কোনওভাবেই লিগে এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকারকে খেলানো সম্ভব নয়।’
গত মরশুমের শেষে আলেজান্দ্রোর পরিকল্পনা ছিল কলকাতা লিগের জন্য দু’জন বিদেশি ডিফেন্ডার আর দু’জন বিদেশি স্ট্রাইকারকে নেওয়া হবে। তিনি সেই রকম নির্দেশই দিয়ে যান। কিন্তু দল গঠনের দায়িত্বে থাকা কলকাতার এক শীর্ষ কর্তা কোলাডোর সঙ্গে কাসিম আইদারাকে সই করিয়ে চরম ভুল করেন। কাশিম আইদারাকে কোচ লিগে কিংবা ডুরান্ডে সেইভাবে খেলাচ্ছেন না। সেনেগালের এই মিডিও আলেজান্দ্রোর সেই ভাবে পছন্দের ফুটবলার নন। বড় ম্যাচের আগে ১২ দিন সময় আছে। দেখা যাক কী হয়। গত বছর পর্যন্ত লিগের মাঝে বিদেশি বদল করতে হলে চারজনের মধ্যে এক জনকে রিলিজ করতে হয়েছে। এই নিয়ম মেনেছে তিন প্রধানের মতোই অপ্রধান দলগুলিও। বর্তমান ইস্ট বেঙ্গলে চার বিদেশির মধ্যে একজনকে রিলিজ করা না হলে মার্কোসকে খেলানোর কোনও সম্ভাবনাই নেই। রাতে এই নিয়মটি নিশ্চিত করেছেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জিও। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর সংবিধান সংশোধন করব আমরা। সংশোধনীতে বলা হবে ছ’জনকে নথিভুক্ত করা যাবে। ২০ জনের দলে রাখা যাবে চারজন। আর মাঠে রাখা যাবে তিনজনকে।’