কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি গায়ে এটাই সম্ভবত ক্রিস গেইলের শেষ ম্যাচ। বিশ্বকাপের পর তিনি ঘরের মাঠে টেস্ট খেলে অবসর নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচকরা তাঁর আবেদনে সাড়া দেননি। গত ম্যাচেই ব্রায়ান লারাকে টপকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে বেশি ‘৩০০’ একদিনের ম্যাচ খেলে নজির গড়েছিলেন ‘ইউনিভার্স বস’। সিরিজের শেষ ম্যাচে গেইল নিশ্চয়ই তাঁরা সেরা পারফরম্যান্সটা মেলে ধরার চেষ্টা করবেন। দল হিসাবে মোটেও খারাপ নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু ক্রিকেটারদের ধারাবাহিকতার বড় অভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। এভিন লুইস ছন্দে আছেন। তবে তাঁর জায়গায় জন ক্যাম্পবেলও খেলতে পারেন। তাছাড়া শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, নিকোলাস পুরানের উপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়-পরাজয় নির্ভর করছে। গত ম্যাচে দারুণ বল করেছিলেন স্পিন অলরাউন্ডার রোস্টন চেজ। এই ম্যাচেও তাঁর খেলার সম্ভাবনা প্রবল। দুই পেস অলরাউন্ডার ক্যাপ্টেন জ্যাসন হোল্ডার ও কার্লোস ব্রেথওয়েটও খেলবেন। সঙ্গে কেমার রোচ, শেল্ডন কটরেল ও ওসানে থমাসের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে বেশ চিন্তায় রেখেছে ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা। বিশ্বকাপের পর থেকে রহিত শর্মা অফ ফর্মে। চোট সারিয়ে জাতীয় দলে কামব্যাক করার পর বড় রান নেই শিখর ধাওয়ানের ব্যাটে। তাঁকে খেলানোর জন্য লোকেশ রাহুলকে বসানো হচ্ছে। তাই এই ম্যাচে শিখর যদি বড় রান না করতে পারেন, তাহলে একদিনের দলে তাঁর পক্ষে জায়গা ধরে রাখা কঠিন হবে। সেক্ষেত্রে ফের রহিতের সঙ্গে ওপেন করতে পারেন লোকেশ। তিন নম্বরে ব্যাট করবেন বিরাট কোহলি। টি-২০ সিরিজে শেষ ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন ভারত অধিনায়ক। গত ম্যাচে দুরন্ত সেঞ্চুরি এসেছিল তাঁর ব্যাটে। স্বাভাবিকভাবেই কোহলির দুরন্ত ফর্ম ক্যারিবিয়ান সফরে ভারতের সামনে ৫-০ (টি-২০ এবং ওয়ান ডে সিরিজ ধরে) করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। চার নম্বরে নামানো হচ্ছে ঋষভ পন্থকে। যাঁকে ধোনির বিকল্প হিসাবেও দেখা হচ্ছে। তবে ঋষভের ব্যাটে ধারাবাহিকতার বড় অভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। যত দ্রুত তিনি ভুল শুধরে নেবেন, সেটা নিজের ও দলের পক্ষে ভালো হবে।
এই সিরিজে ভারতের বড় প্রাপ্তি শ্রেয়াস আয়ার। গত ম্যাচে পাঁচ নম্বরে নেমে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন শ্রেয়াস। মিডল অর্ডার নিয়ে ভারতীয় দলের ব্যাটিংয়ে যে সমস্যা রয়েছে, তা অনেকটাই দূর করতে সফল হয়েছেন তিনি। এই ম্যাচেও শ্রেয়াস যদি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে তাঁর জায়গা মজবুত হবে। ছয়ে নামানো হতে পারে কেদার যাদবকে। তিন পেসার হতে পারেন মহম্মদ সামি, ভুবনেশ্বর কুমার ও খলিল আহমেদ। স্পিন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদবকেও খেলানো হতে পারে।
ম্যাচ শুরু ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায়।