বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তবে ধোনির মতো এত বড় মাপের ক্রিকেটারের অবসর নিয়ে প্রত্যেকদিন যেভাবে আলোচনা হচ্ছে, তা মোটেও কাঙ্খিত নয় বলে মনে করছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘একজন ক্রিকেটার খেলে যেতে চাইবে। তবে নির্বাচকদেরও উচিত সেই ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলে জানা, সে কতদিন খেলতে চাইছে। দু’পক্ষ কথা বললে একটা পথ বেরোবে। জানা যাবে, ক্রিকেটারটি আর কতদিন খেলতে চায়। না হলে প্রত্যেকদিন কিছু না কিছু লেখা হবে খবরের কাগজে। কেউ বলবে, এখনই অবসর নেওয়া উচিত। অনেকে আবার প্রশ্ন তুলবেন, কেন অবসর নেবে? যতদিন ধোনি নিজে থেকে অবসর নিয়ে কিছু না বলবে, ততদিন এই জল্পনা জারি থাকবে। আর সেটা মোটেও ভারতীয় দলের পক্ষে ভালো হবে না। অবিলম্বে তাই জাতীয় নির্বাচকদের কথা বলা উচিত ধোনির সঙ্গে। আমার ব্যক্তিগত মত, ধোনি যদি ফিট থাকে, ভালো খেলে, তাহলে খেলতে দেওয়া উচিত। ধোনি যদি ফিট থাকে, দেখা যায় মোটামুটি খেলছে, তাহলে ও খেলে দিতে পারবে। তবে আমি ওকে যতটুকু চিনি, তাতে ও যদি মনে করে একশো শতাংশ দিতে পারবে, তাহলে কিন্তু ধোনি খেলা চালিয়ে যাবে। তবে আমি ওকে বলব, যখনই ও খেলুক, ধোনির আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলা উচিত। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর খেলা মন্থর হয়ে পড়ে। তবে ধোনিকে দেখে সেটা কিন্তু মনে হচ্ছে না। ও যদি নিজের খেলাটা খেলতে পারে, তাহলে সেটা ওর নিজের ও দলের পক্ষে ভালো হবে। আমি মনে করি, দু’মাস বিশ্রাম নিয়ে ধোনি ঠিক করেছে। তারপর ফিরে এসে ও হয়তো বলতে পারবে, ঠিক কী করতে চাইছে। আমার বিশ্বাস, ও সঠিক সময়েই সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিশ্বকাপে স্ট্যান্ড বাই থাকা সত্ত্বেও অম্বাতি রায়াডুকে পরিবর্ত হিসাবে দলে নেওয়া হয়নি। তার জেরে রায়াডু নির্বাচকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অবসর ঘোষণা করে দেন। এই প্রসঙ্গে আজহার বলেছেন, ‘একজন ক্রিকেটারকে যদি স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়, তাহলে অবশ্যই তাকে সুযোগ দেওয়া উচিত, যদি পরিবর্ত ক্রিকেটার নেওয়ার সুযোগ থাকে। ক্যাপ্টেন-কোচের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচকদের। তাই নিজের দোষ ঢাকার জন্য অন্যদের ঘাড়ে কখনই দোষ চাপানো ঠিক হচ্ছে না। আমি যখন ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন ছিলাম, তখন অনেক ক্রিকেটারকে চেয়ে পাইনি। কারণ, নির্বাচকরা যেটা ভালো মনে করত, সেটাই হত। অম্বাতি রায়াডুকে নিয়ে এম এস কে প্রসাদের বক্তব্যকে আমি কোনওভাবেই সমর্থন করতে পারছি না।’