কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ইংল্যান্ডের মাটিতে সদ্যসমাপ্ত বিশ্বকাপে প্রত্যাশার ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি পাকিস্তান দল। রাউন্ড রবিন লিগ পর্বে তিনটি ম্যাচে হেরে সেমি-ফাইনালে পৌঁছাতে পারেননি সরফরাজ আহমেদরা। পয়েন্ট টেবলে পঞ্চম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করেছে তারা। আর সে জন্যই পাকিস্তানের ক্রিকেটকে ঢেলে সাজাতে চান ইমরান খান। ওয়াশিংটনে সোমবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমিও ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম বিশ্বকাপ দেখতে। কিন্তু দলের হতশ্রী পারফরম্যান্স আমাকে হতাশ করেছে। সেই সময় আমাদের দেশের বর্তমান ক্রিকেট পরিকাঠামো নিয়ে গভীর ভাবে ভাবনাচিন্তা করেছি। বিশ্বকাপের পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে ঢেলে সাজাব। পাক ক্রিকেটকে একটা নিয়মের মধ্যে আনতে চাই আমি। যেখানে সম্ভবনাময় ক্রিকেটাররা তাদের প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পাবে।’ ইমরান আরও বলেন, ‘আমাদের দলটি অনেক পেশাদার। শুধু কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আমার কথা মিলিয়ে নেবেন, আগামী বিশ্বকাপে এই দলটাই বিশ্বের এক নম্বর হয়ে উঠবে। তার জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন আমরা করব।’ উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে ভঙ্গুর একটা দল নিয়ে পাকিস্তানকে প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন অধিনায়ক ইমরান। ফের একবার দুঃসময়ে পাক ক্রিকেটকে তিনি স্বপ্ন দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে।
এদিকে, পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে ইমরানের পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসতেই এক অন্য বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কাজকর্মে সরকারি হস্তক্ষেপের। যে অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি জিম্বাবোয়েকে নির্বাসিত করেছে আইসিসি। সেই বিতর্কের মাঝেই দুঃস্বপ্নের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটকে ঘিরে। পাকিস্তানের বহুল প্রচলিত ইংরাজি দৈনিক ‘দ্য ডন’-এর প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে এবার আইসিসি’র নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে পাকিস্তান। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাক ক্রিকেটে দেশের সরকারের পদ ও অধিকার নির্ধারিত রয়েছে। পিসিবি’র সংবিধানের ৪৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সরকার ইচ্ছেমতো বোর্ডের নিয়ম নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে। প্রধানমন্ত্রীই যেহেতু দেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্যাট্রন, তাই এই অধিকার তাঁর হাতে দেওয়া রয়েছে। এমনকি পিসিবি’র প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে প্যাট্রনের। আর সেখানেই সরকারি হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গ উঠে আসছে। পাক ক্রিকেট মহলের আশঙ্কা, পিসিবি’র নিজস্ব সংবিধানই বিপাকে ফেলতে পারে দেশের ক্রিকেটকে।
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ক্রিকেট বোর্ডে আরও বেশি প্রভাব বাড়িয়েছেন ইমরান খান। পিসিবি’র অধিকাংশ কাজে হস্তক্ষেপের নজির রয়েছে তাঁর। আইসিসি পুরো বিষয়টি নজরে রাখছে বলে সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে দানা বাঁধছে উৎকণ্ঠার মেঘও।