বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার গৌতম গম্ভীর এবার ধোনিকে নিয়ে মুখ খুললেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘ধোনিকে নিয়ে বাস্তবোচিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। ধোনি বরাবরই তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে ছিল। আমার খুব ভালো মনে আছে, অধিনায়ক থাকাকালীন ও বলেছিল, অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলো খুবই বড়। তাই আমাকে, সেওয়াগ ও শচীনকে এক সঙ্গে খেলানো যাবে না। বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তরুণ ক্রিকেটারদের হয়ে বেশি করে সওয়াল করেছিল ‘ক্যাপ্টেন’ ধোনি। তাই, ও যে দর্শনে বিশ্বাসী, সেটাকেই মান্যতা দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল নির্বাচন করা উচিত। আবেগ বর্জন করে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এখন থেকেই আমাদের পরের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই তরুণ ক্রিকেটারদের দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় দেওয়া দরকার। সঞ্জু স্যামসন, ঋষভ পন্থ, ঈশান কিষাণের মতো যারা ভালো উইকেটকিপিং করছে, তাদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সুযোগ দিতে হবে। একজন ক্রিকেটার জাতীয় দলে সুযোগ পেলে তাকে কমপক্ষে দেড় বছর খেলানো উচিত। ব্যর্থ হলে, তখন অন্য কারও কথা ভাবা যেতে পারে।’
গম্ভীর একই সঙ্গে অধিনায়ক ধোনির প্রশংসা করে বলেছেন, ‘আমার দেখা সেরা অধিনায়ক ধোনি। ওর সাফল্যের ধারে কাছে কেউ নেই। তবে আমি অন্য অধিনায়কদের ছোট করছি না। সৌরভ গাঙ্গুলিও ভারতীয় ক্রিকেটকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। ধোনি দু’টো বিশ্বকাপ জিতেছে (২০০৭ সালে টি-২০, ২০১১ সালে ৫০-৫০ বিশ্বকাপ)। কিন্তু এই সাফল্যের কৃতিত্ব একা অধিনায়ককে দেওয়া ঠিক হবে না। ’
এদিকে, প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক সঞ্জয় জাগদালে ব্যাট ধরেছেন ধোনির হয়ে। তিনি জানিয়েছেন, ‘ধোনি ঠিক কী চাইছে, সেটা আগে জানতে হবে বর্তমান জাতীয় নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানকে। ধোনি বড় ক্রিকেটার। নিঃস্বার্থভাবে খেলেছে। আমার ব্যক্তিগত মত, ধোনির বিকল্প নেই ভারতীয় দলে। তবে ও কবে অবসর নেবে, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার ধোনির উপরেই ছেড়ে দেওয়া ভালো।’
ধোনির খুব কাছের বন্ধু অরুণ পাণ্ডে। তিনি অবশ্য প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের অবসর জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে জানিয়েছেন, ‘ওর এখনই অবসর নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। ধোনির মতো এত বড় মাপের ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে ভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা মোটেও কাঙ্খিত নয়।’