পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অধিনায়ক বিরাট কোহলি বিশ্বকাপের আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলবেন না। বিশ্রাম নিয়ে টেস্ট সিরিজের আগে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। কিন্তু সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হওয়ার পর কোহলি বেশ চাপে রয়েছেন। অনেকেই দাবি তুলেছেন, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো টেস্ট এবং সীমিত ওভারের জন্য আলাদা আলাদা অধিনায়কের নিয়ম চালু করা হোক ভারতীয় দলে। সেক্ষেত্রে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের নেতা হিসাবে রহিত শর্মার নাম শোনা যাচ্ছিল। কোহলি বুঝতে পারছিলেন, পায়ের তলার মাটি সরছে। তাই বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফেরার আগেই তিনি জানিয়ে দেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শুধু টেস্ট নয়, সীমিত ওভারের সিরিজেও তিনি খেলতে আগ্রহী। যা দেখে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নেতৃত্ব হারানোর আশঙ্কা থেকেই কোহলি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে জাতীয় নির্বাচক কমিটি বিরাট কোহলিকে রেখেই দল গড়েন কি না, সেটাই দেখার। যদি কোহলি না থাকেন তাহলে ‘টিম ইন্ডিয়া’কে নেতৃত্ব দেবেন রহিত শর্মা।
তবে ভারতীয় দল নির্বাচনে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিশ্বকাপ খেলেই তিনি অবসর নেবেন বলে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও মাহি কিংবা বিসিসিআই-কোনও পক্ষই এই ব্যাপারে উচ্চবাচ্চ্য করছেন না। ৩৮ বছর বয়সী মহেন্দ্র সিং ধোনি নিজে থেকেই অবসর নিন— এটাই চাইছেন নির্বাচকরা। তবে ধোনিকে বাইরে রেখে যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০ এবং একদিনের সিরিজের দল গড়া হয়, তাহলে অন্য বার্তা যাবে মাহির কাছে। তাই ধোনিকে নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। আর তাই ভারতীয় দল নির্বাচন বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।
ধোনি যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবেন না বলে শোনা গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে ঋষভ পন্থকেই উইকেটরক্ষক হিসাবে বেছে নেওয়া হতে পারে। তবে ধোনিকে অবসরের জন্য সুযোগ দিতে চায় বিসিসিআই। এই ব্যাপারে জাতীয় নির্বাচক কমিটির প্রধান এম এস কে প্রসাদ নাকি মাহির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও শোনা গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসক কমিটি ধোনিকে নিয়ে সাবধানে পা ফেলতে চাইছে। মাহি পরের বছর টি-২০ বিশ্বকাপ খেলে অবসর নিতে চাইছেন। কিন্তু নির্বাচকরা কি সেই সুযোগ তাঁকে দেবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
আগেই ঠিক ছিল, বিশ্বকাপের পর বিশ্রাম দেওয়া হবে একঝাঁক ক্রিকেটারকে। সেই তালিকায় আছেন পেসার যশপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সামি, কুলদীপ যাদবের নাম। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছিল মিডল অর্ডার ব্যাটিং। আপাতত সেই রোগ সারিয়ে তোলার ওষুধ খুঁজছেন নির্বাচকরা। বাদ পড়তে পারেন কেদার যাদব, দীনেশ কার্তিকও। ভারতীয় ‘এ’ দল এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে। মণীশ পাণ্ডে, শ্রেয়াস আয়ার, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শুভমান গিলরা দারুণ পারফর্ম করছেন। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে, বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটারকে দলে রাখা হতে পারে। বোলিংয়ে নজর কেড়েছেন ভারতীয় ‘এ’ দলের পেসার খলিল আহমেদ, নভদীপ সাইনি। যেহেতু বুমরাহ, সামিদের বিশ্রাম দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে, তাই খলিল ও সাইনি সুযোগ পেতে পারেন। স্পিন অলরাউন্ডার ক্রুনাল পান্ডিয়ার নামও আলোচনায় উঠে আসতে পারে। ভারতীয় টেস্ট দলের উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা চোট সারিয়ে উঠেছেন। টেস্ট দলের জন্য তাঁর নাম বিবেচিত হতে পারে।