কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
১৬টি দল এতে অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে চারটি আর্মির টিম রয়েছে। আর্মি গ্রিন, আর্মি রেড, ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স, ইন্ডিয়ান নেভি। এছাড়া খেলবে আই লিগের টিম কোয়েস ইস্ট বেঙ্গল, মোহন বাগান, মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব, গোকুলাম কেরল এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি, রিয়াল কাশ্মীর এফসি, চেন্নাই সিটি এফসি, ট্রাউ। আইএসএলের টিম হিসেবে খেলবে এটিকে, চেন্নাইয়ান এফসি, এফসি গোয়া, জামশেদপুর এফসি। আই লিগের দলগুলি পুরো শক্তি নিয়ে খেললেও আইএসএলের টিমগুলি পূর্ণশক্তি নিয়ে খেলতে পারবে না। প্রতিটি দল চার বিদেশি ফুটবলারকে নথিভুক্ত করিয়ে তিনজনকে খেলাতে পারবে। একদা আই লিগ চ্যাম্পিয়ন মিনার্ভা পাঞ্জাব এফসি ডুরান্ড কাপে নেই। এব্যাপারে সংগঠকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা মির্নাভার কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজের সঙ্গে কথা বলেছি। শেষ আই লিগে তারা দশম স্থানে শেষ করেছে। আমরা ঠিক করেছি, আই লিগের প্রথম ছ’টি টিমকে ডুরান্ডে খেলাব।’
প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪০ লক্ষ টাকা। রানার্স পাবে ২০ লক্ষ টাকা। সেমি-ফাইনালের বিজিত টিম পাবে ৫ লক্ষ টাকা করে। ২০১৬ সালে ডুরান্ড কাপে শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্মি গ্রিন। এদিন ফোর্ট উইলিয়ামে ডুরান্ড কাপের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টের সফল আয়োজনে সাহায্য করতে সদাপ্রস্তুত।
ইস্ট বেঙ্গল প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে ৩ আগস্ট। নিজেদের মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ আর্মি রেড। ৫ আগস্ট ইস্ট বেঙ্গল মাঠে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সামনে এটিকে। ২০ আগস্ট দুটি সেমি-ফাইনাল। ২৪ আগস্ট ফাইনাল। সব খেলাই বিকেল তিনটে থেকে শুরু হবে। একমাত্র দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল শুরু হবে সন্ধ্যা ছ’টা থেকে। ১৬টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। গ্রুপ এ’তে রয়েছে কোয়েস ইস্ট বেঙ্গল, আর্মি রেড, জামশেদপুর এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি। গ্রুপ বি’তে খেলবে মোহন বাগান, মহমেডান স্পোর্টিং, এটিকে, ইন্ডিয়ান নেভি। গ্রুপ সি’তে রয়েছে রিয়াল কাশ্মীর, চেন্নাই সিটি এফসি, এফসি গোয়া, আর্মি গ্রিন। গ্রুপ ডি’তে খেলবে গোকুলাম, চেন্নাইয়ান এফসি, ট্রাউ, এয়ারফোর্স।
১২৯তম ডুরান্ড কাপের ক্রীড়াসূচি
২ আগস্ট - মোহন বাগান : মহমেডান স্পোর্টিং (সল্টলেক স্টেডিয়াম), ৩ আগস্ট - ইস্ট বেঙ্গল: আর্মি রেড (ইস্ট বেঙ্গল), ৫ আগস্ট - মহমেডান স্পোর্টিং: এটিকে (ইস্ট বেঙ্গল), ৬ আগস্ট - ইস্ট বেঙ্গল: জামশেদপুর এফসি (সল্টলেক স্টেডিয়াম), ৭ আগস্ট - রিয়াল কাশ্মীর: চেন্নাই সিটি (কল্যাণী), ৮ আগস্ট - বেঙ্গালুরু এফসি: আর্মি রেড (কল্যাণী স্টেডিয়াম), গোকুলাম: চেন্নাইয়ান এফসি (শিলিগুড়ি), ৯ আগস্ট - এফসি গোয়া: আর্মি গ্রিন (কল্যাণী), ট্রাউ: এয়ারফোর্স (শিলিগুড়ি), ১০ আগস্ট - মোহন বাগান: নেভি (মোহন বাগান), ১১ আগস্ট - জামশেদপুর এফসি: আর্মি রেড (ইস্ট বেঙ্গল), ১২ আগস্ট - এয়ারফোর্স: গোকুলাম (শিলিগুড়ি), আর্মি গ্রিন: রিয়াল কাশ্মীর (কল্যাণী), ১৩ আগস্ট - চেন্নাইয়ান এফসি : ট্রাউ (শিলিগুড়ি), ইস্ট বেঙ্গল: বেঙ্গালুরু এফসি (ইস্ট বেঙ্গল), মোহন বাগান: এটিকে (সল্টলেক স্টেডিয়াম), চেন্নাই সিটি: এফসি গোয়া (কল্যাণী), ১৪ আগস্ট - মহমেডান স্পোর্টিং: নেভি (মোহন বাগান),
১৬ আগস্ট - ট্রাউ: গোকুলাম (শিলিগুড়ি), এফসি গোয়া: রিয়াল কাশ্মীর (কল্যাণী), বেঙ্গালুরু এফসি: জামশেদপুর এফসি (মোহন বাগান), ১৭ আগস্ট - চেন্নাই সিটি: আর্মি গ্রিন (কল্যাণী),নেভি: এটিকে (ইস্ট বেঙ্গল), চেন্নাইয়ান এফসি: এয়ারফোর্স (শিলিগুড়ি)।
২০ আগস্ট - দুটি সেমি-ফাইনাল (সল্টলেক স্টেডিয়াম)। ২৪ আগস্ট - ফাইনাল (সল্টলেক স্টেডিয়াম)।
এক নজরে ডুরান্ড কাপ
*১৮৮৮ সালে ডুরান্ড কাপের সূচনা। সেবার হিমাচল প্রদেশের ডাগসাইতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের বিদেশ সচিব মর্টিমার ডুরান্ডের নামে এই প্রতিযোগিতার নামকরণ হয়। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় রয়্যাল স্কটস ফুসিলায়ার্স।
*এফ এ কাপের পর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় প্রাচীন টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপ।
*ভারতের প্রথম সিভিলিয়ান টিম হিসেবে ১৯৪০ সালে ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় মহমেডান স্পোর্টিং।
*ভারতের প্রথম সিভিলিয়ান টিম হিসেবে মোহন বাগান ১৯২২ সালে ডুরান্ড কাপে অংশ নেয়।
*১৬বার করে ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্ট বেঙ্গল ও মোহন বাগান।
*হায়দরাবাদ সিটি পুলিশ (পরে সেই দলের নাম হয় অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ) চারবার ডুরান্ড কাপ জিতেছে। রানার্স হয়েছে তিনবার।
*বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রানার্স হয়েছে দু’বার।
*জেসিটি পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রানার্স হয়েছে সাতবার।
*ব্রিটিশ টিম, হাইল্যান্ড লাইট ইনফ্যানট্রি (১৮৯৩-৯৫) ও ব্ল্যাক ওয়াচ রেজিমেন্ট (১৮৯৭-৯৯) ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টানা তিনবার করে।
*দিল্লির বাইরে প্রথমবার ডুরান্ড কাপ অনুষ্ঠিত হয় গোয়ায় ২০১৪ সালে।
*বাংলার প্রথমবার এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
*ডুরান্ড কাপ একমাত্র ব্যতিক্রমী টুর্নামেন্ট, যেখানে চ্যাম্পিয়ন টিম পায় একসঙ্গে তিনটি ট্রফি। প্রেসিডেন্টস কাপ, ডুরান্ড কাপ ও সিমলা ট্রফি।