বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
রবিবার প্রথম সেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও টাই-ব্রেকারে ডকোভিচের কাছে হারেন ফেডেরার। দ্বিতীয় সেটে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ডকোভিচকে ৬-১ গেমে চূর্ণ করলেন ফেডেরার, তাতে তিনি বুঝিয়ে দিলেন ৩৭ বছর বয়সটা স্রেফ সংখ্যা মাত্র! এই বয়সে সুইস কিংবদন্তির ফিটনেস দেখলে যে কোনও উদীয়মান প্লেয়ার লজ্জা পাবেন। প্রথম সেট ৬-৬ থেকে টাই-ব্রেকারে গেলে ৫-৩ পয়েন্টে এগিয়ে যান ফেডেরার। তারপর দুরন্ত কামব্যাক করে ডকোভিচ ৭-৫ পয়েন্টে টাই-ব্রেকারে জিতে প্রথম সেট পকেটে পুরে নেন।
দ্বিতীয় সেটের শুরুতেই ডকোভিচের সার্ভিস ভেঙে ফেডেরার এগিয়ে যান। এই সেটে আরও দু’বার বিশ্বের একনম্বর সার্বিয়ান তারকার সার্ভিস ভাঙেন ফেডেরার। এই সেটে ডকোভিচকে দুরমুশ করে জেতার পর ভাবা গিয়েছিল ফেডেরার ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবেন। তৃতীয় সেটে ৩-২ গেমে এগিয়ে যান ফেডেরার। সেখান থেকে ৩-৩ করেন ডকোভিচ। তারপর শুধু রজার ও নোভাক একটি করে গেম জিততে থাকেন। ৬-৫ গেমে ফেডেরার এগিয়ে থাকার সময় টানা তিনবার তাঁর শট নেটে ধাক্কা খায়। তারপর ফেডেরারের সার্ভিস ভেঙে ডকোভিচ ৬-৬ করেন। আবার সেই টাই-ব্রেকার। সেখানেও জ্বলে উঠে শেষ রক্ষা করতে পারেননি ফেডেরার। ১-৫ পয়েন্টে পিছিয়ে ৪-৫ পয়েন্টে ব্যবধান কমান তিনি। সেখান থেকে ফেডেরারের মোক্ষম ভুলে ৭-৪ পয়েন্টে টাই-ব্রেকারে জিতে শেষ হাসি হাসেন ডকোভিচ। চতুর্থ সেটে ফেডেরার বয়সের বাধাকে টপকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান। একসময় ২-৫ গেমে পিছিয়ে থেকে ব্যবধান কমিয়ে ৪-৫ করেন ডকোভিচ। সেখান থেকে ৬-৪ গেমে চতুর্থ সেট জিতে নেন ফেডেরার। পঞ্চম সেট জিততে বিশ্বের এক ও দু’নম্বর তারকা যেভাবে মরিয়া হলেন তাতে যে কোনও থ্রিলারকে হার মানায়। শেষপর্যন্ত বাজিমাৎ করেন ডকোভিচ।