লন্ডন, ১৪ জুলাই: এই বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের সফল বোলার হিসেবে নাম ছিল ইয়ান বথামের। ১৯৯২ বিশ্বকাপে তিনি ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০০৭ বিশ্বকাপে বথামকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। কিন্তু, মাত্র ১৪টি উইকেট নিয়েই তাঁকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এবার দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের মঞ্চে যেন জ্বলে উঠলেন ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলাররা। এবার একজন নন, বথামকে টপকে গেলেন দু’জন মার্ক উড (১৮) এবং জোফ্রা আর্চার (২০)। আর ১৬ উইকেট নিয়ে অতীতের কিংবদন্তি অলরাউন্ডারকে ছুঁলেন ক্রিস ওকস। রবিবার লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ফাইনালে ৯ ওভারে ৩৭ রানে তিন উইকেট নিলেন ওকস। কিন্তু, সবাইকে চমকে ৪২ রানে তিন উইকেট নিয়ে কিউয়িদের আড়াইশোর মধ্যে আটকে রাখার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেন লিয়াম প্লাঙ্কেট (৩৪)। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের শেষে ইয়র্কশায়ারের ফাস্ট বোলারের কাছে প্রশ্ন ছিল, ১২ বছর আগেও কি তিনি এই দিনটার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পেরেছিলেন? প্লাঙ্কেট জানালেন, ‘কোনও কোনও সময় বাস্তব যখন স্বপ্ন ছোঁয়, তখন কেমন যেন অবিশ্বাস্য মনে হয়। লর্ডসে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা এক বিরাট ব্যাপার।’ আর দেশের হয়ে খেলতে নেমে এমন পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পেরে স্বভাবতই খুবই খুশি প্লাঙ্কেট। তিনি জানিয়েছেন, ‘ফিল্ডিং করতে নামার আগে আমাদের লক্ষ্য ছিল, নিউজিল্যান্ডকে বেশি রান করতে না দেওয়া। ওদের (নিউজিল্যান্ডকে) কম রানের মধ্যে আটকে রাখা। আমরা কিন্তু পরিকল্পনামাফিক সঠিক লাইনে বল করে নিউজিল্যান্ডকে আড়াইশোর নীচে আটকে রাখতে পেরেছি। আমি প্রয়োজন মতো উইকেট থেকে বাউন্স আদায় করতে পেরেছি। আমার বোলিংয়ের সেরা অস্ত্র হল বৈচিত্র্য। সেটা আজ ঠিকঠাক মতো করতে পেরেছি। আমার ভূমিকা পালনে সফল হয়েছি।’
তিনি আরও বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের মতো ঈর্ষনীয় ব্যাটিং শক্তিকে ২৪১ রানে আটকে রেখে বোলাররা তাঁদের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের পক্ষে এই রান তুলতে সমস্যা হবে না। এবারের বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে ১১ উইকেট পেয়েছেন প্ল্যাঙ্কেট। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন, মাইকেল ভনদের মুখে বারেবারে শোনা গিয়েছে প্ল্যাঙ্কেটের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের প্রশংসা।