পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এবারের বিশ্বকাপের জন্য ভারতের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল দু’বছর আগে, ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারের পর। এরপরই দুই রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চাহালকে ম্যাচ উইনার হিসেব বেছে নেন কোচ রবি শাস্ত্রী এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এরপর একাধিক সিরিজে এই কুলদীপ ও চাহাল দলের টিম ম্যানেজমেন্টের প্রত্যাশা পূরণ করলেও বিশ্বকাপে সেভাবে তাঁরা জ্বলে উঠতে পারেননি। শেষ দু’টি ম্যাচে চাহাল দলে থাকলেও কুলদীপ প্রথম এগারোয় জায়গা পাননি। কোহলিরা যতদিন সাফল্য পেয়েছেন, ততদিন দল নির্বাচন নিয়ে অপ্রিয় প্রশ্নগুলি সামনে আসেনি। কিন্তু, সেমি-ফাইনালে হারের পর দল নির্বাচন এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে অপ্রিয় প্রশ্নগুলিকে আর ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বলা হচ্ছে, প্ল্যান ‘এ’ ক্লিক না করলে প্ল্যান ‘বি’ কেন তৈরি থাকবে না? তবে, ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরমহলের খবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা জানেন যে, শুধু বিশ্বকাপে কেন? কোনও টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রেই ভারতীয় দলে বিকল্প বলে কিছু থাকে না। আসলে রহিত ও কোহলি একসঙ্গে ব্যর্থ না হলে প্ল্যান ‘বি’-র কোনও প্রয়োজন হয় না। ‘ফিনিশার’ হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির কার্যকারিতা যে ক্রমশ কমে আসছে, তা বোঝা যায়নি সাত নম্বরে হার্দিক পান্ডিয়া কাজ চালিয়ে যাওয়ায়। মনীশ পান্ডে, শ্রেয়াস আয়ারের মতো ক্রিকেটারদের নাম বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের সময় কেন ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়েও এখন প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। সুযোগ দেওয়া হয়নি সম্ভাবনাময় শুভমান গিলকেও। বিসিসিআইয়ের নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন এমএসকে প্রসাদ। মজার বিষয় হল, পাঁচ সদস্যের নির্বাচক কমিটির ক্রিকেটীয় বিষয়টি বিবেচনা করলে কিন্তু দেখা যাবে, সম্মিলিতভাবে তাঁদের ২০টি টেস্ট ম্যাচ খেলারও অভিজ্ঞতা নেই। আর তাঁদের উপরই রয়েছে জাতীয় দল নির্বাচনের ভার। মূল দলটির পাশাপাশি ২০ জনের দ্বিতীয় একটি দল ব্যাকআপ হিসেব রাখার প্রয়োজনীয়তা আর কবে অনুভব করবেন নির্বাচকরা?
টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দলে কোহলি, রহিত, কে এল রাহুল, হার্দিক, বুমরাহ, ঋষভ পন্থ, কুলদীপ ও ভুবনেশ্বর কুমারের স্থান পাকা। বিবেচনায় অবশ্যই থাকবেন চাহাল এবং মহম্দ সামি। পাশাপাশি নজরে রাখতে হবে মনীশ পান্ডে, শ্রেয়াস আয়ার, শুভমান গিল, পৃথ্বী শ’, মায়াঙ্ক আগরওয়ালদের। বিকল্প হিসেবে তৈরি রাখতে হবে পেসার নভদীপ সাইনি, খলিল আহমেদ, দীপক চাহার, লেগ স্পিনার রাহুল চাহার, মায়াঙ্ক মার্কান্ডে, অলরাউন্ডার ক্রুনাল পান্ডিয়া এবং সঞ্জু স্যামসনদের। তাহলেই সাফল্যের জন্য কোনও একজনের উপর নির্ভর করতে হবে না।