বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
ইউনিভার্সিটি গেমসের ১০০ মিটারের ফাইনালে দ্যুতি প্রথমবার ফাইনালে নেমেই সোনা জিতলেন। সোমবার এই প্রতিযোগিতার হিটে ১১.৫৮ সেকেন্ড সময় করে সেমি-ফাইনালে উঠেছিলেন। মঙ্গলবার সেমি-ফাইনালে ১১.৪১ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে ফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করেন দ্যুতি চাঁদ। ফাইনালে দ্যুতির আগ্রাসী মানসিকতা, দুরন্ত স্ট্রাইড, টাইমিং, গতি ও টেকনিকের সাহায্যে অন্য অ্যাথলিটদের পিছনে ফেলে দেন। ১১.৩৩ সেকেন্ড সময় করে রুপো জেতেন সুইজারল্যান্ডের আজলা দেল পন্তো। ১১.৩৯ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জ জেতেন জার্মানির লিজা কোয়ায়ি।
দু’বারের এশিয়া চ্যাম্পিয়ন ও জাতীয় রেকর্ডের অধিকারী দ্যুতি এবছর নিজের সেরা সময় (১১.২৬ সেকেন্ড) টপকাতে পারেননি। এবছর দোহায় দ্যুতি এই রেকর্ড গড়েন। তবে ১০০ মিটারে দ্যুতি চাঁদের সেরা সময় হল ১১.২৪ সেকেন্ড।
‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ ওলিম্পিকসের পর গ্লোবাল মাল্টি গেমসে সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতার নাম ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমস। এই প্রতিযোগিতায় দ্যুতির আগে ভারতের সেরা পারফরম্যান্স ছিল ২০১৫ সালে। সেবার শটপাটে সোনা জিতেছিলেন ইন্দরজিৎ সিং। তারপরে ২০১৩ ও ২০১৭ সালে ভারত একটি করে রুপো পায়।
এদিন নাপোলিতে সোনা জেতার পর দ্যুতি চাঁদ তাঁর ইউনিভার্সিটি কেআইআইটি’কে উৎসর্গ করেছেন। একই সঙ্গে ওড়িশার এই নামী ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা সামন্তজি, মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এবং ওড়িশার মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দ্যুতি চাঁদ। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে দ্যুতি লিখেছেন, ‘এই সাফল্য আমি উৎসর্গ করেছি তাঁদের, যারা আমার খারাপ সময়ে পাশে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক সবসময় আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। আমার পাশে থেকেছেন।’
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরে দ্যুতি চাঁদ ব্যক্তিগত সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। তাঁর ট্র্যাকে ফেরাই অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়ায়। সেখান থেকে দারুণভাবে কামব্যাক করলেন ভারতের সেরা দ্রুততম এই অ্যাথলিট। কলিঙ্গ ইনস্টিটিউটে ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির ছাত্রী দ্যুতি চাঁদ। তাঁর এখন লক্ষ্য, দোহাতে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ্যতা অর্জন করা।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু অভিনন্দন জানিয়েছেন দ্যুতি চাঁদকে।