আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথম সেমি-ফাইনালে পরিষ্কার ফেভারিট হিসেবে খেলতে নেমেছিল ভারত। বিশ্বকাপের লিগ পর্বে অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে ওরা। স্বভাবতই টিম ইন্ডিয়াকে ঘিরে প্রত্যাশা বিপুল বেড়ে গিয়েছিল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের প্রথম দিনটাও ছিল ওদেরই দখলে। অসাধারণ বোলিং করে মাত্র ২৩৯ রানে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসকে আটকে দিয়েছিল যশপ্রীত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমাররা। অনেকেই কল্পনা করতে পারেননি যে, এর পরও ভারত ম্যাচটা হেরে যেতে পারে। কিন্তু লিগের শেষ তিনটি ম্যাচে হেরে কোনওক্রমে সেমি-ফাইনালে পৌঁছানো কিউয়িরা বোধহয় যাবতীয় শক্তি এই ম্যাচটার জন্যই সঞ্চয় করে রেখেছিল। স্বল্প রানের পুঁজি নিয়েও যেভাবে ওরা বুক চিতিয়ে লড়াই করল, তা সত্যিই অনবদ্য। ভারতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে উইলিয়ামসনরা। প্রথম পাওয়ার প্লে’তে দুরন্ত ফর্মে থাকা রহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের রাশ ভারতের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় ম্যাট হেনরি, ট্রেন্ট বোল্টরা। দলের বোলিং লাইন-আপের ওপর আস্থা রেখে তাদের দিয়ে ম্যাচের শেষ অধ্যায়টা মধুর করতে চেয়েছিল উইলিয়ামসন। অধিনায়কের আস্থার পূর্ণ মর্যাদাই দিয়েছে তারা। বিশেষ করে পেসার ম্যাট হেনরির প্রশংসা করতে হবে আলাদা ভাবে। ওর প্রথম স্পেলেই লেখা হয়ে গিয়েছিল সেমি-ফাইনালের পরিণতি। কঠিন পরিস্থিতিতে মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং রবীন্দ্র জাদেজার নাছোড়বান্দা লড়াই খেলাটাকে হঠাৎ জমিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আশা জাগিয়েও অল্পের জন্য ভারতীয় সমর্থকদের স্বপ্নরক্ষা করতে পারেনি ওরা। তবে ধোনি-জাদেজার পাল্টা লড়াইয়ের তারিফ করতেই হবে।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ইংল্যান্ড দলের কাছে অত্যন্ত পয়া মাঠ। এই মাঠের আকৃতিগত সুবিধা কাজে লাগানোর জন্য যথারীতি তৎপর থাকবে ওরা। তবে এবার ওদের লড়াই অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিরুদ্ধে। তাই শুধু মাঠের আকৃতি কাজে লাগিয়ে জেতা যাবে না। কারণ বেয়ারস্টো, জ্যাসন রয়দের মোকাবিলা করতে হবে মিচেল স্টার্কের মতো বোলারকে। আশা করব, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে ওঠার লড়াই দারুণ জমবে।